ভারতে দূতাবাসের কার্যক্রম বন্ধের ঘোষণা দিয়েছে আফগানিস্তান। ভারত সরকারের পক্ষ থেকে অসহযোগিতাপূর্ণ আচরণসহ কয়েকটি কারণ উল্লেখ করে রোববার (১ অক্টোবর) থেকে দূতাবাস বন্ধ থাকবে বলে জানানো হয়েছে। দুই দেশের দীর্ঘদিনের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বিবেচনায় অনেক ভেবেচিন্তে কঠোর এই সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছে বলে জানিয়েছে আফগান দূতাবাস কর্তৃপক্ষ। খবর এনডিটিভির।
শনিবার রাতে তিন পৃষ্ঠার বিবৃতিতে ১ অক্টোবর থেকে দূতাবাস বন্ধের এ ঘোষণা দেওয়া হয়। বিবৃতিতে বলা হয়, ‘অত্যন্ত পরিতাপের বিষয়! ভারত সরকারের কাছ থেকে সমর্থনের অভাব, আফগানিস্তানের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট প্রত্যাশা পূরণে ব্যর্থতা এবং কর্মী ও সম্পদ কমে যাওয়ায় ১ অক্টোবর থেকে ভারতে আফগান দূতাবাসের কার্যক্রম বন্ধ থাকবে। আমাদের অনুরোধ, এর আগে ভারত সরকারের কাছে জমা দেওয়া চার দফা যেন গুরুত্বের সঙ্গে দেখা হয়। বিশেষ করে দূতাবাস প্রাঙ্গণে যেন আফগানিস্তানের পতাকা ওড়াতে দেওয়ার বিষয়টি যেন বিবেচনা করা হয় এবং কাবুলের ভবিষ্যত বৈধ সরকারের কাছে দূতাবাসের সমস্ত কিছু যেন হস্তান্তর করা হয়।’
আফগান রাষ্ট্রদূত ফরিদ মাহমুদজাই। তিনি তালেবানপূর্ববর্তী আশরাফ গনি সরকারের নিয়োগপ্রাপ্ত। ২০২১ সালের আগস্টে তালেবান ক্ষমতায় আসার পরও তিনিই ভারতীয় আফগান দূতাবাসের প্রধান রয়ে গেছেন। পরে ট্রেড কাউন্সিলর কাদির শাহ ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাঠানো এক চিঠিতে নিজেকে দূতাবাসটির তালেবান দ্বারা নিযুক্ত চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স হিসেবে দাবি করেন। যদিও ভারতের আফগান দূতাবাসের দেওয়া বিবৃতিতে কূটনৈতিক মিশনটিতে ক্ষমতার দ্বন্দ্বের অভিযোগ শক্তভাবে নাকচ করা হয়েছে।
ভারত এখনও নিয়মতান্ত্রিক ও গণতান্ত্রিক তালেবান সরকারকে স্বীকৃতি দেয়নি। ফলে নয়া দিল্লির আফগান দূতাবাসে আগের সরকারের পতাকা ওড়ানো হবে নাকি বর্তমান তালেবানের পতাকা ওড়ানোর অনুমতি দেওয়া হবে তা নিয়ে সংশয় রয়ে গেছে। বরং আফগানিস্তানের গণতান্ত্রিক তালেবান সরকারের প্রসঙ্গে ভারত সরকার বলে আসছে, আফগানিস্তানের মাটি সন্ত্রাসীদের হাতে যাক বা সন্ত্রাসীদের দ্বারা ব্যবহৃত হোক তা তারা চায় না।