জাতীয় পর্যায়ে আন্ত প্রাথমিক বিদ্যালয় ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতায় অর্ধশত বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীকে পেছনে ফেলে একক অভিনয় প্রতিযোগিতায় সারাদেশে প্রথম হয়েছে রাঙামাটির ক্ষুদে শিক্ষার্থী মো. তাজিম রহমান।
শহরের ফরেস্টকলোনী এলাকার বাসিন্দা বদিউল আলমের একমাত্র সন্তান তাজিম বনরূপা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণীর ছাত্র। মা হারা আদুরে ক্ষুদে এই শিক্ষার্থীর অর্জনে যারপরনাই খুশি তারই শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও পরিবারের সদস্যরা।
তাজিম রহমানের শ্রেণি শিক্ষিকা উৎপলা চাকমা জানিয়েছেন, তাজিম খুবই মেধাবী। সে অভিনয়, আবৃতি ও নাচে বিশেষ পারদর্শী বলেও জানিয়েছেন তার শিক্ষিকা। তাজিমের এই অর্জরে তাকে সংবর্ধনা দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে রাঙামাটি জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস ও তাজিমের বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
বিগত ১২ মে থেকে ১৬ মে বিদ্যালয় পর্যায়ে প্রথম হয়, ১৭-১৯ মে ইউনিয়ন পর্যায়েও প্রথম, এরপর ৪-৭ জুন উপজেলা, ৮ থেকে ১২ জুন জেলা পর্যায়ে এবং ২২ জুন বিভাগীয় পর্যায়ে এবং সর্বশেষ ১১ সেপ্টেম্বর জাতীয় পর্যায় পর্যন্ত সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতায় একক অভিনয় বিভাগে অংশগ্রহণ করে প্রথম স্থান অধিকার করে তাজিম।
এসময় তার হাতে পুরস্কার তুলে দেন প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. মুহিবুর রহমান।
মফস্বল শহর রাঙামাটি থেকে অংশগ্রহণ করে তৃতীয় শ্রেণীর শিক্ষার্থী তাজিম রহমান ইউনিয়ন, পৌর, উপজেলা, জেলা ও বিভাগীয় পর্যায়ে একক অভিনয় প্রতিযোগিতায় প্রথম স্থান অর্জন করে এবং সর্বশেষ জাতীয় পর্যায়ে গিয়ে সারাদেশের সেরা প্রতিযোগী নির্বাচিত হয় তাজিম।
তাজিম শিশু শ্রেণিতে পড়াকালীন সময়েই তাকে বোতল নৃত্য প্রশিক্ষণ দেওয়ার কথা স্মরণ করে তার শিক্ষিকা উৎপলা চাকমা জানিয়েছেন, আমি তাজিমের এই সাফল্যে অত্যন্ত খুশি হয়েছি। তাজিমের এক বছর বয়স থেকেই মা নেই। তার বাবার একক প্রচেষ্টায় আর আমাদের সহযোগিতায় সে তার মেধাকে কাজে লাগিয়ে নিজের সর্বোচ্চ টুকু দিয়ে বিজয়ের মালা ছিনিয়ে আনছে। তার মাধ্যমেই পুরো রাঙামাটি জেলার পরিচিতি ছড়িয়ে পড়ছে।
এদিকে ১৮ সেপ্টেম্বর রাঙামাটিস্থ মারি স্টেডিয়ামে তাজিমকে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস কর্তৃপক্ষ কর্তৃক সংবর্ধনা দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন বনরূপা মডেল প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা উৎপলা চাকমা।
তাজিদের পিতা বদিউল আলম তার একমাত্র সন্তানের জন্য সকলের কাছে দোয়া চেয়েছেন। যাতে ভবিষ্যতে নিজেকে আরো উচু পর্যায়ে নিয়ে তার শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও রাঙামাটি জেলার সুনাম বৃদ্ধি করতে পারে।