শনিবার, ১০ জুন ২০২৩, ০২:৩৮ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :

ইউপিডিএফের উস্কানিমূলক, মানহানিকর ও রাজনৈতিক শিষ্টাচার বহির্ভূত বক্তব্যে জেএসএসের প্রতিবাদ

ডেস্ক রিপোর্ট
  • প্রকাশিত: শুক্রবার, ২২ জুলাই, ২০২২
  • ১৮ পঠিত

হিল উইমেন্স ফেডারেশন ও পার্বত্য চট্টগ্রাম নারী সংঘ এর ব্যানারে গত ২০ জুলাই ২০২২ তারিখে পার্বত্য চুক্তি বিরোধী সশস্ত্র সংগঠন ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ) কর্তৃক রাঙ্গামাটিতে পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির সভাপতি ও পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদের চেয়ারম্যান শ্রী জ্যোতিরিন্দ্র বোধিপ্রিয় লারমা (সন্তু লারমা)-কে ‘খুনী’, ‘সন্ত্রাসীদের গডফাদার’, ‘জাতীয় কুলাঙ্গার’, ‘দালাল’ ইত্যাদি আখ্যায়িত করে এবং ‘সন্তু তোমার খুনের রাজনীতি বন্ধ কর! জেএসএসের (সন্তু) প্রতি ভ্রাতৃঘাতী সংঘাত বন্ধের আহ্বানে’ শীর্ষক ব্যানার নিয়ে আয়োজিত মানববন্ধন অনুষ্ঠানে উস্কানিমূলক, উগ্র ও অসৌজন্যমূলক শ্লোগান ও বক্তব্যের প্রতিবাদ জানিয়েছে পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি (জেএসএস)।

প্রতিবাদ লিপিতে তারা বলেন, মানববন্ধনে জেএসএস’এর প্রতি তথাকথিত ভ্রাতৃঘাতি সংঘাত বন্ধের আহ্বান জানানো হলেও তাদের অধিকাংশ বক্তব্যে ও শ্লোগানে জনসংহতি সমিতির সভাপতি ও পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদের চেয়ারম্যান শ্রী জ্যোতিরিন্দ্র বোধিপ্রিয় লারমাকে (সন্তু লারমা) লক্ষ্য করে যে বক্তব্য দেয়া হয়েছে, তা সম্পূর্ণ আক্রমণাত্মক, বিদ্বেষমূলক, উস্কানিমূলক, মানহানিকর ও রাজনৈতিক শিষ্টাচার বহির্ভূত।

পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি দৃঢ়কন্ঠে বলতে চায়, কায়েমি স্বার্থবাদী একটি বিশেষ মহল কর্তৃক চুক্তি বিরোধী ও জুম্ম স্বার্থ পরিপন্থী যে গভীর ষড়যন্ত্র চলমান রয়েছে সেই মহলেরই নির্দেশে এবং তারই অংশীদার হিসেবে চুক্তিবিরোধী ইউপিডিএফ কর্তৃক উক্ত দুই সংগঠনকে ব্যবহার করে এই ধরনের ষড়যন্ত্রমূলক মানববন্ধনের নাটক মঞ্চস্থ করা হয়েছে। উক্ত মানববন্ধনে যে বক্তব্য দেওয়া হয়েছে তা সম্পূর্ণ ভাওতাবাজি ও জনগণকে বিভ্রান্ত করার ষড়যন্ত্র ছাড়া আর কিছু নয়। বস্তুত ইউপিডিএফ পার্বত্য অধিবাসীদের অধিকারের সনদ পার্বত্য চুক্তিকে কালো চুক্তি বলে আখ্যায়িত করেছে এবং চুক্তি বিরোধীতার মধ্যেই যার জন্ম সেই ইউপিডিএফ এখনো একই অবস্থানে রয়ে গেছে। তারা এখনো সমানে চুক্তি বিরোধীতার কথা বলে, চুক্তি বিরোধী ষড়যন্ত্রে লিপ্ত থাকে ও চুক্তি স্বাক্ষরকারী জনসংহতি সমিতির নেতৃত্বকে ধ্বংস করার অপচেষ্টায় লিপ্ত।

তাদের এহেন বক্তব্য প্রত্যাহার ও পরিহার করার আহ্বান জানান তারা। পাশাপাশি জুম্ম জাতি ও পার্বত্য অধিবাসীদের সামগ্রিক স্বার্থে চুক্তি বিরোধী ও জুম্ম স্বার্থ পরিপন্থী ষড়যন্ত্র থেকে বেরিয়ে এসে জনসংহতি সমিতির নেতৃত্বে পার্বত্য চুক্তি বাস্তবায়নসহ আত্মনিয়ন্ত্রণাধিকার প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে শামিল হওয়ার জন্য আহ্বান জানান।

শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Let's check your brain 48 − = 38

একই ধরনের আরও সংবাদ
© All rights reserved 2022 CHT 360 degree