কক্সবাজার শহরের কলাতলী আবাসিক হোটেল কক্ষ থেকে ‘ঝুলন্ত অবস্থায়’ এক তরুণীর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। হোটেলের নিবন্ধন খাতায় উল্লেখিত তথ্য মতে, নিহত জেসমিন আক্তার (২৫) রামু উপজেলার জোয়ারিয়ানালা এলাকার জামাল রাজীব চৌধুরী।
কক্সবাজার সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. মিজানুর রহমান জানান, মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে কক্সবাজার শহরের কলাতলী হাঙ্গরমোড় (ডলফিন মোড় ) সংলগ্ন আবাসিক হোটেল সী গাজীপুর এর ২০২ নম্বর কক্ষ থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়। হোটেল কক্ষে ফ্যানের সাথে ওড়না প্যাঁচানো অবস্থায় লাশটি পাওয়া যায়।
হোটেলের নিবন্ধন খাতায় নিহত তরুণীর নাম ও ঠিকানা উল্লেখ থাকলেও স্বাক্ষর নেই। তাই নাম ও ঠিকানা তা সঠিক কিনা পুলিশ নিশ্চিত নয়। ঘটনার পর থেকে হোটেলের ম্যানেজার আজিজুর রহমান এবং নিরাপত্তা প্রহরী ফোরকান আহমদ ওরফে ডিপজল পলাতক রয়েছে।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বলেন, “প্রাথমিকভাবে ঘটনাটি আত্মহত্যা বলে পুলিশের ধারণা। তারপরও এটি হত্যাকাণ্ড কিনা পুলিশ খতিয়ে দেখছে। “
হোটেল সী গাজীপুরের ভাড়াটে মালিক আব্দুল জব্বার বলেন, সোমবার বিকালে স্থানীয় এক মসজিদে তিনি আছরের নামাজ আদায় করতে যান। এসময় নিরাপত্তা কর্মী ফোরকান আহমদের সঙ্গে জেসমিন আক্তার হোটেল আসেন। পরে হোটেলটির ২০২ নম্বর কক্ষে ওই তরুণী একা উঠেন।
মঙ্গলবার রাত ৯টার দিকে নিরাপত্তা কর্মী ফোরকান আহমদ মোবাইল ফোনে কল দিয়ে আমাকে জানায় সে অসুস্থবোধ করছেন। রাতে দায়িত্ব পালন করা তার (ফোরকান) পক্ষে সম্ভব নয়। এর কিছুক্ষণ পর নিরাপত্তা কর্মী আবারও আমাকে কল করে জানায়, হোটেল কক্ষে অবস্থান করা তরুণী গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেছে। পরে বিষয়টি আমি পুলিশ ও হোটেল মালিক নেতাদের অবহিত করি।
ঘটনাস্থলে পুলিশ আসার আগেই হোটেল ম্যানেজার আজিজুর রহমান এবং নিরাপত্তা কর্মী ফোরকান আহমদে পালিয়ে যায় বলে জানান হোটেলটির এ ভাড়াটে মালিক।
নিহতের লাশ উদ্ধার করে কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।