কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের বেলি হ্যাচারি পয়েন্ট থেকে সমিতিপাড়া পর্যন্ত প্রায় সাড়ে চার কিলোমিটারজুড়ে তীব্র ভাঙন দেখা দিয়েছে। গত তিনদিনের বৃষ্টি ও জোয়ারের পানিতে বাড়ছে ভাঙনের আকার।
ঢেউয়ের আঘাতে লাবণী পয়েন্টের বেশ কয়েকটি জিও ব্যাগ ছিঁড়ে গেছে। ওই এলাকার ট্যুরিস্ট পুলিশের হেল্প ডেস্কও নদীতে তলিয়ে যাওয়ার পথে।
কবিতা চত্বর থেকে ডায়াবেটিক পয়েন্ট পর্যন্ত অনেক ঝাউগাছ উপড়ে পড়েছে। জিও ব্যাগেও রক্ষা হচ্ছে না। ভাঙনের তীব্রতায় উদ্বিগ্ন সৈকত পাড়ের ব্যবসায়ীরা।
এদিকে, শুক্রবার (১২ আগস্ট) দুপুরে সৈকতের ভাঙন পরিদর্শন করেছেন পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব কবির বিন আনোয়ার।
এ সময় তিনি বলেন, জিও ব্যাগটা এখানে কাজ করে না। তা অস্থায়ী ব্যবস্থা। অনেক উঁচু বাঁধ দরকার। ইতোমধ্যে আমরা একনেকে ৩,১৪০ কোটি টাকার একটা প্রকল্প জমা দিয়েছি। নাজিরারটেক থেকে মেরিন ড্রাইভ পর্যন্ত স্থায়ী প্রতিরক্ষা বাঁধ হবে। তখন হয়তো সাগরের ভাঙন থেকে রক্ষা পাবে কক্সবাজার।
পরিদর্শনকালে জেলা প্রশাসক মো. মামুনুর রশীদ, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো. আবু সুফিয়ান, পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী ড. তানজির সাইফ আহমেদ, স্থানীয় ব্যবসায়ী নেতা কাশেম আলীসহ সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত ছিলেন।