বৃহস্পতিবার, ৩০ নভেম্বর ২০২৩, ০৩:৩৩ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
দালাল-বেঈমানের জন্মদাতা কুখ্যাত ইব্রাহিমকে পাহাড়ি জনগণ কখনই ক্ষমা করবে না! টেকনাফে আদালতের আদেশ অমান্য করে জমি দখলের চেষ্টা খাগড়াছড়িতে অটোরিকশা চালকের গলাকাটা লাশ উদ্ধার থানচি বাজার সড়কের বেহাল দশা, জনদুর্ভোগ চরমে ফিলিস্তিন সংকট:বেসামরিক নাগরিকদের গাজা ত্যাগের জন্য সময় নির্ধারণ করাই ইসরাইলের উদ্দেশ্য কুতুবদিয়ায় গলায় ফাঁস দিয়ে স্কুল ছাত্রীর আত্মহত্যা ইসরায়েল থেকে রাষ্ট্রদূত প্রত্যাহার করলো তুরস্ক মাস্ক পরে অনুশীলনে বাংলাদেশ, দিল্লিতে ম্যাচ নিয়েও শঙ্কা গর্জনিয়ায় পানিতে ডুবে হেফজখানার ছাত্রের মৃত্যু পাকিস্তানের বিপক্ষে নিউজিল্যান্ডের রানের পাহাড়

কক্সবাজার সৈকতের ৬৭৭ স্থাপনা উচ্ছেদের প্রতিবেদন হাইকোর্টে

ডেস্ক রিপোর্ট
  • প্রকাশিত: বুধবার, ৯ নভেম্বর, ২০২২
  • ৪০ পঠিত

কক্সবাজার সুমদ্র সৈকতের বালিয়াড়িতে ২৬০টি এবং সুগন্ধা পয়েন্টে ৪১৭টি অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়েছে বলে প্রতিবেদন দাখিল করেছেন কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক।

বুধবার (৯ নভেম্বর) বিচারপতি জে বি এম হাসান ও বিচারপতি রাজিক আল জলিলের হাইকোর্ট বেঞ্চে এ প্রতিবেদন দাখিল করা হয়।

প্রতিবেদন দাখিলের পর কক্সবাজারের ডিসিকে আদালত অবমাননার দায় থেকে অব্যাহতি দিয়ে এ সংক্রান্ত রুল নিষ্পত্তির আদেশ দিয়েছেন আদালত।

আদালতে জেলা প্রশাসকের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মো. মোমতাজ উদ্দিন ফকির। আবেদনকারী পক্ষে শুনানিতে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মনজিল মোরসেদ।

এর আগে, কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত এলাকার অবৈধ দখল ও স্থাপনা উচ্ছেদের জন্য নির্দেশ দিয়ে ২০১১ সালের ৭ জুন রায় দেয় হাইকোর্ট। ওই রায়ের আলোকে কয়েক দফা নির্দেশনা দিলেও তা সম্পূর্ণ বাস্তবায়ন করা হয়নি। পরে, গত ৭ ফেব্রুয়ারি কক্সবাজারের ডিসিসহ সংশ্লিষ্টদের একটি আইনি নোটিশ দেওয়া হয়েছিল। নোটিশের সন্তোষজনক জবাব না পাওয়ায় আদালত অবমাননার আবেদন করে হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশ (এইচআরপিবি)।

সে আবেদনের শুনানি নিয়ে গত ২৫ আগস্ট হাইকোর্ট কক্সবাজারের ডিসিকে তলব করেন। পাশাপাশি ডিসিসহ আরও চার জনের বিরুদ্ধে রুল জারি করেছিলেন হাইকোর্ট। তারা হলেন- কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান অবসরপ্রাপ্ত লেফটেন্যান্ট কর্নেল ফোরকান আহমেদ, টাউন প্ল্যানার তানভির হাসান, কক্সবাজারের পুলিশ সুপার হাসানুজ্জামান ও পৌরসভার মেয়র মজিবর রহমান। পরে, গত ১৯ অক্টোবর আদালতের নির্দেশ অনুসারে ব্যাখ্যা দিতে হাজির হন কক্সবাজারের ডিসি মামুনুর রশীদ। এ সময় তাকে উদ্দেশ্য করে আদালত বলেন, আদালতের আদেশ পালন না করলে আপনার ক্যারিয়ার শেষ হয়ে যাবে। আমরা পত্রিকা-টিভিতে দেখি কক্সবাজারের সৌন্দর্য রক্ষায় আপনার ভূমিকা শুধু জিরো নয় বরং নেগেটিভ।

এরপর মামুনুর রশীদ আদালতের কাছে নিঃশর্ত ক্ষমা চান। তখন আদালত অবমাননার অভিযোগ থেকে ডিসিকে ব্যক্তিগত হাজিরা থেকে অব্যাহতি দেন হাইকোর্ট।

এ সময় জেলা প্রশাসক প্রতিবেদন দিয়ে জানান, ৪১৭টি অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়েছে। ২৩৩টি অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে চেম্বার জজ আদালতের নিষেধাজ্ঞা থাকায় তা উচ্ছেদ করা হয়নি।

তখন আদালত ৩১ অক্টোবরের পর থেকে আপিল বিভাগের স্থগিতাদেশ উঠে যাওয়ার পরপরই কক্সবাজারের সব অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করার নির্দেশ দেন। একইসঙ্গে আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী উচ্ছেদ কার্যক্রম পরিচালনা করে আগামী ৯ নভেম্বরের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিল করতে নির্দেশ দেন আদালত।

শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Let's check your brain 59 − 57 =

একই ধরনের আরও সংবাদ
© All rights reserved 2022 CHT 360 degree