রাঙামাটির কাপ্তাইয়ের ৩নং চিৎমরম ইউনিয়ন যুবলীগ নেতাকে জেএসএস সন্ত্রাসী কর্তৃক মারধরের অভিযোগে উঠেছে। সোমবার (৭ নভেম্বর) সন্ধ্যা ৬টায় দিকে এ মারধরের ঘটনা ঘটে।

এ ঘটনা কাপ্তাই উপজেলা আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগ ও অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দ কাপ্তাই ও চিৎমরম এলাকায় রাত ৮টায় জেএসএস সন্ত্রাসীর বিচারের দাবিতে সড়ক অবরোধ এবং আগুন জ্বালিয়ে বিক্ষোভ সমাবেশ করে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সন্ধ্যায় চিৎমরম ঐতিহ্যবাহী কঠিন চীবর দানোৎসব অনুষ্ঠান চলছিলো। অনুষ্ঠানের কোন এক ফাঁকে জেলা পরিষদ রেস্ট হাউজ থেকে ইউনিয়ন যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক হাবিবুর রহমানকে কয়েকজন সন্ত্রাসী ধরে নিয়ে বেদম প্রহার করে। প্রহারের পর বৌদ্ধবিহারের মাঠে ফেলে চলে যায়। পরে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ নেতৃবৃন্দ খবর পেয়ে উক্ত নেতাকে মুমূর্ষ অবস্থায় উদ্ধার করে প্রথমে ক্রিস্টিয়ান মিশন হাসপাতাল ভর্তি করা হয়। পরে শারীরিক অবস্থা খারাপ হলে রাত সাড়ে ৮টায় চট্টগ্রাম মেডিকেল হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়।

কাপ্তাই উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি অংসুইছাইন চৌধুরী অভিযোগ করে জানান, জেএসএস সন্ত্রাসীরা হাবিবকে হত্যার করার উদ্দেশ্যে নিয়ে গেছিলো। আমরা এসব সন্ত্রাসীদের কঠিন বিচারের দাবি জানায়।

কাপ্তাই উপজেলা আওয়ামী যুবলীগ সভাপতি মো. নাছির উদ্দিন বলেন. আমাদের চিৎমরম ইউনিয়ন যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক হাবিবুর রহমান হাবিবকে জেএসএস সন্ত্রাসীরা পরিকল্পিতভাবে হত্যার করার উদ্দেশ্যে নিয়ে যায় এবং বেদম প্রহার করে। আমরা এর কঠিন বিচার চাই। যুবলীগ নেতাকে প্রহারের অভিযোগে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের মাঝে উত্তেজনা বিরাজ করছে।

চন্দ্রঘোনা থানার অফিসার ইনচার্জ ইকবাল বাহার চৌধুরী (ওসি) জানান, ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান ধরে নিয়ে গিয়েছিলো, তবে বিহারের মাঠের এক কোনে হাবিবকে পাওয়া যায়। কারা এ ঘটনা ঘটিয়েছে তিনি তদন্ত ছাড়া কিছু বলতে পারবেনা বলে জানান।