পাহাড় ফের উত্তপ্ত। খাগড়াছড়িতে প্রতিপক্ষের গুলিতে ইউপিডিএফ (প্রসীত) নেতা অংথুই মারমার হত্যার প্রতিবাদে খাগড়াছড়ি-ঢাকা আঞ্চলিক সড়কে ও যানবাহনে আগুন দিয়েছে প্রসীত বিকাশ খীসার নেতৃত্বাধীন পাহাড়ের আঞ্চলিক সংগঠন ইউপিডিএফ’র সন্ত্রাসীরা। এতে আতঙ্কে রয়েছে এলাকাবাসী ও সড়কে যাতায়াতকারীরা।
শুক্রবার (২ সেপ্টেম্বর) দুপুর ৩টার দিকে রামগড় উপজেলার দাতারাম পাড়া ও গুইমারা উপজেলার বাইল্যাছড়িতে পৃথকভাবে মাল বোঝাই ট্রাকে এ আগুন দেওয়ার ঘটনা ঘটে।
খবর পেয়ে নিরাপত্তা বাহিনী ও পুলিশের সদস্যরা ঘটনাস্থলে পৌঁছালে সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়। তবে এ ঘটনায় কেউ হতাহত হয়নি।
গাড়ির মালিক শাহিন জানান, কিস্তিতে গাড়িটি কিনেছে। আগুনে পুড়ে যাওয়ায় সব স্বপ্ন শেষ হয়ে গেছে।
ট্রাক চালক জানান, সন্ত্রাসীরা তাকে গুলি করতে চেয়েছিলো। সে হাতে-পায়ে ধরে জীবন ভিক্ষা নিয়েছে। এরপর গাড়িতে আগুন দিয়েছে সন্ত্রাসীরা।
ইউপিডিএফের একটি সূত্র জানায়, অংথুই মারমাকে হত্যার প্রতিবাদে তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া হিসেবে এই অবরোধ পালন করছে ইউপিডিএফ’র স্থানীয় কর্মী-সমর্থক ও ইউনিটের সদস্যরা। এছাড়া ইউপিডিএফ সড়ক অবরোধ কর্মসূচি পালন করছে গুইমারা উপজেলার বিভিন্ন এলাকায়।
রামগড় থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান ও গুইমারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. রশীদ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ঘটনার পর ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। এলাকায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা টহল দিচ্ছে।
উল্লেখ, শুক্রবার সকাল পৌনে ৯টার খাগড়াছড়ি গুইমারায় দুই আঞ্চলিক সশস্ত্র গ্রুপের মধ্যে বন্দুকযুদ্ধে প্রসীত বিকাশ খীসার নেতৃত্বাধীন পাহাড়ের আঞ্চলিক সশস্ত্র সংগঠন ইউপিডিএফের গুইমারা শাখার আঞ্চলিক কমান্ডার অংথুই মারমা ওরফে আগুন (৫২) নিহত হয়েছে। নিহত অংথুই মারমা উপজেলার বুদং পাড়ার (যৌথ খামার) কংহ্লাউ মারমার ছেলে ও ওই এলাকার বাসিন্দা ছিলেন।
লাশ উদ্ধারের সময় লাশের পাশে পড়ে থাকা ম্যাগাজিনসহ ৫ রাউন্ড গুলি উদ্ধার করেছে পুলিশ। পরে লাশটি ময়নাতদন্তের জন্য খাগড়াছড়ি সদর হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।