রবিবার, ০১ অক্টোবর ২০২৩, ০২:৪৪ অপরাহ্ন

ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং ঝুঁকিতে নাইক্ষ্যংছড়িতে খোলা হয়েছে ৩০টি আশ্রয়কেন্দ্র, মাইকিং চলছে

ডেস্ক রিপোর্ট
  • প্রকাশিত: সোমবার, ২৪ অক্টোবর, ২০২২
  • ৩২ পঠিত

সিত্রাং ঘূর্ণিঝড়ে নিরাপদে আশ্রয়ে রাখতে নাইক্ষ্যংছড়িতে খোলা হয়েছে ৩০টি অস্থায়ী আশ্রয়কেন্দ্র। উপজেলার ৫ ইউনিয়নে এসব কেন্দ্র খোলা হয়। প্রতিটি ইউনিয়নে জনপদগুলোতে পাহাড় ধস ও দুর্যোগ থেকে নিরাপদ আশ্রয়ের এ শিবিরে চলে যেতে মাইকিং করা হচ্ছে সোমবার সন্ধ্যায়।

সোমবার ( ২৪ অক্টোবর) বিকেলে বিষয়টি নিশ্চিত করে উপজেলা নির্বাহী অফিসার সালমা ফেরদৌস পার্বত্যনিউজকে বলেন, উপজেলার ৫ ইউনিয়নে ৩০টি নয় শুধু, প্রয়োজনে আরো আশ্রয় শিবির খোলা হবে। যেন কোন মানুষ কষ্ট না পান। তিনি আরো বলেন, বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত গভীর নিস্নচাপটি আরো শক্তিশালী হয়ে ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং এ পরিণত হয়ে উপকূলীয় অঞ্চল আঘাত হানতে পারে আশঙ্কায় এ ব্যবস্থা নেয়া হয়। তিনি বিষয়টি সাবর্ক্ষণিং মনিটরিং করছেন।

নাইক্ষংছড়ি সদর চেয়ারম্যান নুরুল আবছার বলেন, তিনি ৬টি আশ্রয়কেন্দ্র খোলেছেন। বিশেষ করে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোকে এ শিবিরের আওতায় আনা হয়।

দৌছড়ি ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মোহাম্মদ ইমরান জানান, তার ইউনিয়নের ৭টি অস্থায়ী আশ্রয় শিবির খোলা হয়েছে।কুরিক্ষ্যং, ছাগলখাইয়া, বাঁকখালী, কুলাছি, বাহিরমাঠ, লেবুছড়ি ও উক্যজাই হেডম্যানপাড়া সরকারীি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে খোলা হয়েছে এ আশ্রয় শিবির।

ঘুমধুম ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান জাহাঙ্গির আজিজ বলেন, তিনি ইউনিয়ন পরিষদসহ ৫টি আশ্রয় শিবির খোলেছেন।

উপজেলার ৫ ইউনিয়নের চেয়ারম্যানরা জানান, শিবিরগুলোতে খাবারের ব্যবস্থাও করা হয়েছে। ঝুঁকিপূর্ণ এলাকাগুলোতে মাইকিং করে আশ্রয় শিবিরে আশ্রয় নিতে বলা হচ্ছে বারবার। উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কঠোরতায় তারা মাঠে কাজ করছেন নিবিড়ভাবে।

এদিকে নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোহাম্মদ এনামুল হক বলেন, ঘূর্ণিঝড় “সিত্রাং” এর প্রভাবে সোমবার রাত ৮ টা নাগাদ উপসহকারী কর্মকর্তাদের দেয়া তথ্যে তিনি জেনেছেন, বর্তমানে মাঠে থাকা রোপা আমনের ব্যাপক ক্ষয়-ক্ষতির আশঙ্কা করছেন তারা । তবে এ মুহূর্তে তার সংখ্যা তিনি বলতে পারেন নি।

তিনি আরো বলেন, এ বছর নাইক্ষ্যংছড়িতে রোপা আমনের আবাদ হয়েছে ৩৩৩২ (তিন হাজার তিনশত বত্রিশ) হেক্টর জমিতে। এ বছর এখানে ফলন অনেক ভালো হয়েছে। তবে সিত্রাং এর ঝুঁকি তাকে চিন্তিত করেছে। আর কলাগাছসহ বিভিন্ন বাগানের ব্যাপক ক্ষতির আশঙ্কাও করছেন তিনি। অবশ্য বর্তমানে জুমের ধান ঘরে তুলে ফেলেছে জুমিয়ারা। এ জন্য পাহাড়িদেন তেমন দুশ্চিন্তা নেই এতে।

শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Let's check your brain + 67 = 74

একই ধরনের আরও সংবাদ
© All rights reserved 2022 CHT 360 degree