বান্দরবান জেলার নাইক্ষ্যংছড়ির তুমব্রুতে নিবন্ধিত ২০৯৮ জন এবং ৯৯ শত অনিবন্ধিতসহ মোট ২১৯৭ জন রোহিঙ্গাকে ট্রানজিটে ক্যাম্পে নেয়া শেষ হয়েছে।
সোমবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) সকাল সাড়ে ১০ টা থেকে বিকেল সাড়ে ৪ টা পর্যন্ত এদেরকে ট্রানজিট ক্যাম্পে নেয়া হয়।
এছাড়া বাকী অনিবন্ধিত রোহিঙ্গাদেরকেরকে একই কায়দায় কুতুপালং সংলগ্ন ঘুমধুমের এ ট্রানজিট ক্যাম্পে নেয়া হবে। সেখানে নেয়ার পর তাদেরকে ( অনিবন্ধিতদের) রেজিস্ট্রেশন করিয়ে শরণার্থী শিবিরে ঘর বরাদ্ধ দেয়া হবে।
এ বিষয়টি নিশ্চিত করেন, স্থানান্তর কার্যক্রম তদারককারী কুতুপালংস্থ ১৩ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্প ইনচার্জ সিআইসি(নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট) জহিরুল ইসলাম ও স্থানীয় ঘুমধুম ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান একেএম জাহাঙ্গীর আজিজ।
এ সময় তারা বলেন, সোমবার ষষ্ঠ পর্বে ৮১ পরিবারের ৪৪৪ রোহিঙ্গাকে কুতুপালং সংলগ্ন ট্রানজিট ক্যাম্পে স্থানান্তর করা হয়েছে। মঙ্গলবার
সপ্তম পর্বে ৪১ পরিবারের ১৫০ জন রোহিঙ্গাকে সেখানে ঠাঁই দেয়া হবে।
চেয়ারম্যান জাহাঙ্গির আজিজ আরও বলেন, তুমব্রুতে ১৮ ফেব্রুয়ারি থেকে ৩ দিনে সোয়া ৪ হাজার রোহিঙ্গা শূন্যরেখা থেকে তুমব্রুতে আশ্রয় নিলেও সপ্তাখানেক পর গুণে পাওয়া গেছে ২৯৭০ জন রোহিঙ্গা। এদের মধ্যে ষষ্ঠ দফায় ট্রানজিট ক্যাম্পে ১৩ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত নেয়া হয় ২১৯৭ জন রোহিঙ্গা।
এছাড়াও এ বিষয়ে কক্সবাজার শরণার্থী, ত্রাণ ও প্রত্যবাসন কমিশনার মোহাম্মদ মিজানুর রহমার বলেন, প্রায় ৩ হাজার রোহিঙ্গার মধ্যে ২ হাজারের অধিক পূর্বের নিবন্ধিত।যাদেরকে সোমবার নাগাদ ট্রানজিট ক্যাম্পে আনা হয়েছে। বাকীরা অনিবন্ধিত ছিলো। এদেরকে আগে ট্রানজিট ক্যাম্পে এতে রেজিস্ট্রেশন করে শিবিরে নেয়ার চিন্তা ভাবনা করা হচ্ছে। আশা করি এ নিয়ে কোন ঝামেলা হবে না। যথা নিয়মে তাদেরকে আনা হবে।