বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম ইউনিয়নের মিয়ানমার সীমান্ত এলাকায় দীর্ঘ দিন পর গুলাগুলি বন্ধ। শুনা যাচ্ছেনা হেলিকপ্টার ও জঙ্গি বিমানের শব্দ। প্রতিদিন ভোর হতে রাত পর্যন্ত শুনা যেত বর্মী সামরিক বাহিনীর গুলাগুলি মর্টারের গোলার আওয়াজ ও বিমানের বোমা বর্ষণের শব্দ।
রবিবার (৪ সেপ্টেম্বর) সকাল থেকে এ রিপোর্ট পাঠানো পর্যন্ত কোন ধরনের গুলাগুলির শব্দ পাওয়া যায়নি বলে জানালেন স্থানীয় বাসিন্দা রেজু গর্জন বুনিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক উক্যচিং তংচংগা চাকমা।
সরেজমিনে সীমান্তের সোনাইছড়ি, বরইতলী, বৈদ্দের ছড়া, গর্জন বুনিয়া, বাইশ পারী, তুমব্রু ঘুমধুম ইউনিয়ন এলাকা ঘুরে স্থানীয় লোকজনের সাথে কথা বলে জানা যায়, দীর্ঘ একমাস পর সীমান্তে আজ গুলাগুলির শব্দ বন্ধ রয়েছে। এতে স্থানীয় লোকজনের মাঝে কিছুটা স্বস্তি ফিরেছে। তবে স্থানীয় লোকজনের এখনো শঙ্কা কাটেনি। আবারও যদি গুলির শব্দ আসে।
এতদিন বর্মী সামরিক বাহিনীর গুলাগুলির কারণে সীমান্তের স্কুল ছাত্র-ছাত্রীদের অভিভাবকরা আতঙ্কে ছিল।
গর্জন বুনিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ছৈয়দ হামজা বলেন, প্রতিদিন বর্মী সামরিক বাহিনীর গুলাগুলিতে বিদ্যালয়ে শুনা যেত বিকট শব্দ। ছাত্র-ছাত্রীদের নিয়ে ছিল শঙ্কা। তাই তিনি বিষয়টি উপজেলা শিক্ষা অফিসার ত্রিরতন চাকমাকে অবহিত করেছিলেন।
সরজমিনে আরো জানা যায়, সীমান্ত এলাকায় গুলাগুলি বন্ধ হলেও বিজিবির টহল ছিল জোরদার। নাম প্রকাশ না করার শর্তে বিজিবির একজন কর্মকর্তা জানান, সীমান্ত এখন শান্ত হলেও আমাদের নজরদারি কড়া এবং টহল জোরদার রয়েছে।
এবিষয়ে ঘুমধুম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. জাহাংগীর আজিজ বলেন, দীর্ঘ দিন গুলাগুলি হলেও সীমান্ত আজ কোন গোলাগুলি নেই। শ্রমিকরা কাজে ফিরছে, ক্ষেত খামারে ফিরছে কৃষকেরা। বিজিবির টহল অব্যাহত রয়েছে। আশা করি শান্তি ফিরে আসবে। আমি সকলকে নির্ভয়ে কাজ করার জন্য আহবান জানিয়েছি।