ফরিদপুরের ভাঙ্গায় দুই গ্রামবাসীর মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষে অন্তত ৪০ জন আহত হয়েছেন। এসময় হামলাকারীরা বেশ কয়েকটি দোকানপাট, মাদরাসা ও ইউনিয়ন পরিষদ ভাঙচুর করেন। বৃহস্পতিবার (২৬ জানুয়ারি) দুপুর ১২টা থেকে হামেরদী ইউনিয়ন পরিষদ এলাকায় দফায় দফায় এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, গত রবিবার দুপুরে মুনসুরাবাদ এলাকায় স্টারলাইন পরিবহনের একটি বাসের সঙ্গে মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষে একই পরিবারের তিনজন নিহত হন। তখন দুর্ঘটনাকবলিত পরিবহনের ড্রাইভার ভেবে মুনসুরাবাদ এলাকার মউদুলসহ উত্তেজিত গ্রামবাসী পাশের বড় মুসকুন্নি গ্রামের তাইজুলকে মারধর করেন। পরে হামলাকারীরা জানতে পারেন তিনি ড্রাইভার নন। এনিয়ে দুই গ্রামের লোকজনের মধ্যে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। তখন এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিরা সালিশ বৈঠকের সিদ্ধান্ত নেন। বৃহস্পতিবার সকালে ইউনিয়ন পরিষদের সামনে বর্তমান চেয়ারম্যান খোকনসহ সাবেক আরও দুই চেয়ারম্যান সালিশে বসেন। বৈঠক চলাকালে বড় মুসকুন্নি গ্রামের তাইজুল উত্তেজিত হয়ে মুনসুরাবাদ গ্রামের মউদুল ও তার লোকজনের ওপর হামলা চালায়। ফলে দুই গ্রুপ সংঘর্ষে জড়িতে পড়েন। এতে উভয়পক্ষের অন্তত ৪০ জন আহত হয়েছেন।
এ বিষয়ে হামেরদী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. খোকন বলেন, সালিশ বৈঠক চলাকালে দুই গ্রুপ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। এতে ৩৫-৪০ জন আহত হন।
ভাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জিয়ারুল ইসলাম বলেন, ঘটনাস্থলে গিয়ে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কোনো পক্ষ থানায় অভিযোগ করেননি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।