বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি সদর ইউনিয়নের আমতলী মাঠ মহিউচ্ছুন্নাহ দাখিল মাদরাসার কর্মচারীকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় জড়িত সন্দেহে ছৈয়দুল আমিন ও আকাশ নামের দু’জনকে জিজ্ঞেসাবাদের জন্য আটক করেছে পুলিশ।
মঙ্গলবার (৮ নভেম্বর) রাতে আমতলী মাঠের শাহা আলম ও আবু তাহেরের বাড়ির মাঝখানে রাস্তার উপর দুর্বৃত্তদের হাতে খুন হন দিদারুল আলম (২৭)।
নিহতের মৃতদেহ ঘটনাস্থলে পড়ে থাকতে দেখে এলাকাবাসী চেয়ারম্যান ও থানা পুলিশকে খবর দেয়। নিহত ফজুরছড়া চাকঢালা এলাকার মো. ইসলামের ছেলে। তার ৪ বছরের মেয়ে ও আড়াই বছরের একটি ছেলে সন্তান আছে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে একজন জানান, একই মাদরাসার ছাত্র ছৈয়দুল আমিন ও রেজাউল করিমের সাথে নারী ঘটিত একটি ঘটনার বিষয়ে দিদারুল আলম জানতো। যা নিয়ে মাদরাসায় একাধিক বার বৈঠক হয়েছে।
নিহতের স্ত্রী খালেদা বেগম জানান, তার স্বামী দিদারুল মাগরিবের আগে বাচ্চাদের জন্য নাস্তা আনবে বলে বাড়ি থেকে দোকানে যায়। এশার নামাজ পড়ে বাড়ি ফেরার পথে দুর্বৃত্তরা তার স্বামীকে নৃশংসভাবে হত্যা করেছে বলে দাবি করেন তিনি।
এলাকাবাসী জানান, পুলিশ খবর পেয়ে সাথে সাথে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়। রাত ২টায় লাশ উদ্ধার করে বুধবার (৯ নভেম্বর) সকালে ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়।
বুধবার (৯ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টায় ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন সহকারী পুলিশ সুপার মো. আনোয়ার হোসেন।
মহিউচুন্নাহ দাখিল মাদরাসার ভারপ্রাপ্ত সুপার মো. জাহাঙ্গীর আলম জানান, দুই ছাত্রদের সমস্যার বিষয়টি মাদরাসায় সমাধান হয়েছে। আর দিদারুল আলম একজন শান্ত ও ভদ্র ছেলে। সে মাদরাসায় যোগদানের পর থেকে সকলের সাথে মিলেমিশে কাজ করে আসছে।
নাইক্ষ্যংছড়ি থানার ওসি (তদন্ত) মো. শাহাজাহান জানান, নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। অপরাধী যেই হোক, রহস্য উদঘাটন করে আইনের আওতায় আনা হবে।
আজ বিকাল ৫টার সময় নিহত দিদারুল আলমের দাফন সম্পন্ন করা হয়েছে। তার বাড়িতে চলছে শোকের মাতম। নিহতের পরিবারের সদস্য ও এলাকাবাসী ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত পূর্বক বিচারের দাবি করেন।