শনিবার, ১০ জুন ২০২৩, ০৪:০৯ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :

নারীদের ব্যবহার করে কক্সবাজারে বার্মিজ মার্কেট দখলের চেষ্টা

ডেস্ক রিপোর্ট
  • প্রকাশিত: সোমবার, ২৩ জানুয়ারী, ২০২৩
  • ২৫ পঠিত

কক্সবাজার শহরের কলাতলীতে নির্মিত টিএম বার্মিজ মার্কেট দখল করতে বারবার হামলা চালিয়েছে দুর্বৃত্তরা। দুর্বৃত্তদের হামলার ভয়ে গেল কয়েকমাস ধরে মার্কেটটি খুলতে না পেরে ব্যবসায়ীদের অর্ধশত কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে জানিয়েছেন মার্কেট মালিকরা।

মার্কেট মালিকদের অভিযোগ, পৌরসভার দক্ষিণ বাহারছড়ার এলাকার আব্দুল্লাহ এবং সৈয়দ মোহাম্মদ মুসা দখলবাজিতে মহিলা ব্যবহার করছে। ভূমিদস্যুদের অব্যাহত হুমকিতে ব্যবসায়ী ও মার্কেট মালিক নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছেন। তবে, পুলিশের তৎপরতার কারণে মার্কেটটি রক্ষা করতে পেরেছেন বলে জানান মার্কেট মালিকরা।

আব্দু ছবুর নামের আরেকজন মার্কেট মালিক জানান, বিএস ১৭৫১ খতিয়ানে ওয়ারিশ সূত্রে পাওয়া জমিতে অনেক বছর ধরে একটি মার্কেট নির্মাণ করে ব্যবসা করছেন তারা। সম্প্রতি এটিকে পর্যটন শিল্প বন্ধব করতে সংস্কার করে নতুন করে একটি ‘টিএম বার্মিজ মার্কেট’ নির্মাণ করা হয়। এর পরেই মার্কেটটি দখলে নিতে কয়েক দফা হামলার চেষ্টা চালিয়েছে ভূমিদস্যু আব্দুল্লাহ ও মুসা গং।

মার্কেট মালিকদের দেয়া তথ্য মতে, ভূমিদস্যুদের পক্ষে জনৈক আব্দুল করিম স্বত্ব দাবি করে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে এমআর মামলা দায়ের করেন। যার নং-১৭৮৩/২২)। মামলাটি সরজমিনে তদন্ত করে আদালতে প্রতিবেদন দেন সহকারী কমিশনারের পক্ষে তহসিলদার। প্রতিবেদন পাওয়ার পর আদালতে মামলাটি খরিজ হয়ে যায়।

হোসনে আরা নামে আরেক মার্কেট মালিক বলেন, ভূমিদস্যুদের হাত থেকে রক্ষা পেতে এমআর মামলা দায়ের করেন। যার নং-১৮৫৫/২২। মামলাটিও তদন্ত প্রতিবেদন দিলে আদালত ভূমিদস্যু মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ ও সৈয়দ মোহাম্মদ মুসা গংদের বিরুদ্ধে বারিত আদেশ এবং মার্কেটে ব্যবসায়ীরা যেন নিরাপদে ব্যবসা করতে পারে সেজন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে কক্সবাজার মডেল থানার ওসিকে নির্দেশ দেন আদালত। আইনি লড়াইয়ে চূড়ান্তভাবে হেরে যাওয়ার পর আরো বেশি ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে ভূমিদস্যু আব্দুল্লাহ গং মার্কেট দখলের জোরচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।

হোসনে আরা বলেন, জায়গা জমির বিষয়টি দলিলে প্রমাণ হয়। কিন্তু তারা জোর করে দখলে নিতে তৎপর। দখলবাজচক্র বর্তমানে হিলডাউন সার্কিট হাউস এবং কলাতলী আনবিক শক্তিকমিশন এলাকায় সরকারি জমি অবৈধভাবে দখল করে বহুতল ভবন নির্মাণ করে রেখেছে।

দুর্বৃত্তদের অব্যাহত হুমকিতে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন বলেও দাবি করেন তিনি।

ব্যবসায়ী জেবর মল্লুক বলেন, মার্কেট খুলতে না পেরে আমাদের অর্ধশত কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। নষ্ট হয়ে অনেক পণ্যও। আমরা আশা করছি থানা প্রশাসন আদালতের আদেশ বাস্তবায়ন করবে।

এ বিষয়ে কক্সবাজার মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, আদালতের আদেশ বাস্তবায়নে পুলিশ সর্বোচ্চ আন্তরিক। আইন লঙ্ঘনকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Let's check your brain + 32 = 37

একই ধরনের আরও সংবাদ
© All rights reserved 2022 CHT 360 degree