সমীকরণটা সহজ ছিল, নেদারল্যান্ডসকে হারালে সেমিফাইনালের আশা টিকে থাকবে জিম্বাবুয়ের জন্য। তবে এই কাজটাও করতে পারল না ক্রেগ এরভিনের দল। নেদারল্যান্ডসের কাছে ৫ উইকেটে হেরে বিশ্বকাপের সুপার টুয়েলভ থেকে বিদায় নিশ্চিত হলো জিম্বাবুয়ের।
দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ভাগ্যক্রমে এক পয়েন্ট পেয়ে সুপার টুয়েলভের যাত্রা শুরু করেছিল জিম্বাবুয়ে। এরপর সবাইকে চমকে দিয়ে পাকিস্তানকে হারিয়ে দেয় এরভিনের দল। কিন্তু এর পরের ম্যাচেই বাংলাদেশের কাছে নাতিকিয় ম্যাচে হেরে যায় আফ্রিকা মহাদেশের দেশটি। ফলে এই ম্যাচটা জয়ের বিকল্প ছিলনা তাদের কাছে সেমিফাইনালের আশা বাঁচিয়ে রাখার জন্য।
তবে তা করে দেখাতে পারেনি জিম্বাবুয়ে। মাত্র ১১৮ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে গিয়ে শুরু থেকেই দক্ষে শুনে খেলতে থাকে ডাচরা। শুরুতে দলীয় ১৭ রানে স্টেফান মাইবার্গকে হারালেও টম কুপারকে নিয়ে ৭৩ রানের জুটি করেন দলের হয়ে সর্বোচ্চ ইনিংস খেলা ম্যাক্স ও’ডাউড। এক সময় মনে হচ্ছিল এই এক উইকেটেই জয় তুলে নিবে নেদারল্যান্ডস।
তবে শেষ ২৬ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে কিছুটা চাপে পরে যায় ডাচরা। কিন্তু লক্ষ্য সহজ হওয়ায় শেষ পর্যন্ত আর বিপদে পরতে হয়নি এডওয়ার্ডসের দলের। ১২ বল ও ৫ উইকেট হাতে রেখেই লক্ষে পৌঁছে যায় নেদারল্যান্ডস। এরই সাথে গ্রুপ-২ এ ডাচদের পাশাপাশি বিশ্বকাপ থেকে জিম্বাবুয়েরও বিদায় নিশ্চিত হয়ে যায়।
এর আগে অ্যাডিলেডে প্রথমে ব্যাটিং করার সিদ্ধান্ত নেন জিম্বাবুয়ের অধিনায়ক এরভিন। তবে তার সিদ্ধান্তটা ভুলই ছিল বলতে হবে। কারণ দলের সেরা খেলোয়াড় সিকান্দার রাজা ছাড়া কেউই বেশিক্ষণ ক্রিজে টিকতে পারেনি। ম্যাচের দ্বিতীয় ওভারেই মাধভেরেকে বোল্ড করে জিম্বাবুয়ের পতন শুরু করেন ভ্যান মিকেরেন।
এরপর পাওয়ার প্লের ছয় ওভারে মাত্র ২০ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে বিপদে পরে আফ্রিকা মহাদেশের দলটি। এরপর দলের হাল ধরেন সিকান্দার রাজা এবং শন উইলিয়ামস। তারা দুইজন মিলে ৪৮ রানের এক জুটি গড়েন। তবে তাদের জুটি ভাঙার পর তাসের ঘরের মতো ভেঙে পরে জিম্বাবুয়ের ইনিংস। দলের কঠিন অবস্থার মাঝে ২৪ বলে ৪০ রানের এক ইনিংস খেলেন রাজা।
দলের ১১৭ রানের মধ্যে ১৪ রানই এসেছে অতিরিক্ত। যদি এই রানগুলো না আসত, তাহলে জিম্বাবুয়ের অবস্থা আরও খারাপ হতো। এদিকে নেদারল্যান্ডের হয়ে তিনটি উইকেট নেন পল ভ্যান মিকেরেন। এ ছাড়া দুটি করে উইকেট পেয়েছেন তিনজন।