বৃহস্পতিবার, ৩০ নভেম্বর ২০২৩, ০৪:১৩ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
দালাল-বেঈমানের জন্মদাতা কুখ্যাত ইব্রাহিমকে পাহাড়ি জনগণ কখনই ক্ষমা করবে না! টেকনাফে আদালতের আদেশ অমান্য করে জমি দখলের চেষ্টা খাগড়াছড়িতে অটোরিকশা চালকের গলাকাটা লাশ উদ্ধার থানচি বাজার সড়কের বেহাল দশা, জনদুর্ভোগ চরমে ফিলিস্তিন সংকট:বেসামরিক নাগরিকদের গাজা ত্যাগের জন্য সময় নির্ধারণ করাই ইসরাইলের উদ্দেশ্য কুতুবদিয়ায় গলায় ফাঁস দিয়ে স্কুল ছাত্রীর আত্মহত্যা ইসরায়েল থেকে রাষ্ট্রদূত প্রত্যাহার করলো তুরস্ক মাস্ক পরে অনুশীলনে বাংলাদেশ, দিল্লিতে ম্যাচ নিয়েও শঙ্কা গর্জনিয়ায় পানিতে ডুবে হেফজখানার ছাত্রের মৃত্যু পাকিস্তানের বিপক্ষে নিউজিল্যান্ডের রানের পাহাড়

পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদ, নানিয়ারচর, উপজেলা সম্মেলন

ডেস্ক রিপোর্ট
  • প্রকাশিত: শনিবার, ৬ আগস্ট, ২০২২
  • ৪৫ পঠিত

নানিয়ারচর প্রতিনিধি

পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদ, মহিলা পরিষদ ও ছাত্র পরিষদের নানিয়ারচর উপজেলা সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।

শনিবারন (৬ আগস্ট) সকালে নানিয়ারচর উপজেলা পরিষদ সংলগ্ন ছায়ামঞ্চে অনুষ্ঠিত সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদ কেন্দ্রীয় কমিটির চেয়ারম্যান কাজী মো. মজিবর রহমান মজিব। এতে সভাপতিত্ব করেন, পরিষদের রাঙামাটি জেলা সহ-সভাপতি মো. নুর জামাল হাওলাদার।

সম্মেলনে নানিয়ারচর উপজেলা কমিটিতে মো. আব্দুল মালেককে সভাপতি, মো. আব্দুল জলিল খানকে সাধারণ-সম্পাদক ও সাংগঠনিক সম্পাদক হিসেবে মো. মিজানুর রহমান কে দায়িত্ব দেওয়া হয়। মহিলা পরিষদ উপজেলা কমিটির সভাপতি বিলকিস বেগম ও নাসিমা বেগমকে সাধারণ সম্পাদক হিসেবে ঘোষণা করা হয়। এছাড়াও মেহরাজ হোসেনকে পার্বত্য চট্টগ্রাম ছাত্র পরিষদের সভাপতি ও আরিফ খান বাবুকে সাধারণ সম্পাদক করে কমিটি ঘোষণা করা হয়।

সম্মেলনে পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদ কেন্দ্রীয় কমিটির মহাসচিব মো. আলমগীর কবির, অ‍্যাড. পারভেজ তালুকদার, অধ‍্যক্ষ আবু তাহের, রাঙামাটি জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক মো. সোলায়মান, কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক আনিসুর জামান ডালিম, এস এম. মাসুম রানা, আসমা মল্লিক, মোরসেদা আক্তার, মো. শাহাজালাল, রাঙামাটি জেলা কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক লাভলী আক্তারসহ পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদ রাঙামাটি জেলা শাখা ও এর সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

এসময় বক্তারা বলেন, ‘পার্বত্য চট্টগ্রামের কতিপয় বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন (জেএসএস, ইউপিডিএফ) সহ তাদের অঙ্গ সংগঠন প্রতিনিয়ত নিরীহ বাঙালিদের উপর নির্যাতন চালিয়ে যাচ্ছে। গুম, হত্যা, নির্যাতন, লুটপাট, বাড়িঘরে অগ্নিসংযোগসহ বর্বরতম সব ঘটনা ঘটিয়ে যাচ্ছে বাঙালিদের উপর। এসব বর্বরতায় এবং অত্যাচারে বাঙালিরা হারাচ্ছে তাদের ভিটেমাটি, এমনকি তাজা প্রাণও হারাচ্ছে অনেকেই। ১৯৯৭ সালের চুক্তির পর থেকে এখন পর্যন্ত ধারাবাহিকভাবে এসব অত্যাচার চলে আসছে। আমাদের বাংলাদেশসহ বিশ্বের বিভিন্ন ইলেক্ট্রনিক মিডিয়া ও পত্রপত্রিকায় যেভাবে উপজাতীয়দের অনগ্রসর, পশ্চাৎপদ ও অসহায় চিহ্নিত করে একচেটিয়া শুধুমাত্র উপজাতিদের জন্য উন্নয়ন কর্মকাণ্ড চালানো হচ্ছে। যদিও তারা বর্তমানে ততটা পশ্চাৎপদ নয়।’

বক্তাগণ আরো বলেন, ‘বর্তমানে আমাদের দেশে অনেক বামপন্থী বুদ্ধিজীবী, সাংবাদিক ও বিভিন্ন মিডিয়া ব্যক্তিত্ত্বরা শুধুমাত্র উপজাতিদের অধিকার, পশ্চাৎপদতা, অসহায়ত্বতা বাংলাদেশসহ সারা বিশ্বের কাছে উপস্থাপন করছে যে পার্বত্য চট্টগ্রামের উপজাতিরা অনগ্রসর। কিন্তু তার বিপরীতে পার্বত্য চট্টগ্রাম দুর্গম পাহাড়ি এলাকাগুলোতে যে সব বাঙালি পরিবার উপজাতীদের চেয়ে অনেক বেশি অনগ্রসর, পশ্চাৎপদ ও বৈষম্যের শিকার তা নিয়ে কারো গবেষণা নেই, নেই কোন রিপোর্ট। বাস্তবিকভাবে দেখা যায় উপজাতীয়রা বর্তমানে মোটেও পশ্চাৎপদ নয়। প্রত্যক্ষভাবে দেখা যায় তারা বাংলাদেশের অন্যসব জেলার মানুষের চেয়ে অনেক উন্নত জীবন যাপন করছে। শিক্ষা, চাকরি, ব্যবসায়-বাণিজ্য সর্বক্ষেত্রে তারা বাঙালিদের চেয়ে বহুগুণে প্রতিষ্ঠিত।’

বক্তারা বলেন, ‘বর্তমানে পার্বত্য চট্টগ্রামে বসবাসরত হাজার হাজার উপজাতী ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার, আইনজীবী, সেনা অফিসার, প্রশাসনে উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা, শিক্ষক, ব্যাংকার, পুলিশ কর্মকর্তা, এনজিও কর্মকর্তা-কর্মচারী, বিদেশি সংস্থার কর্মকর্তা। বিপরীত দিকে পার্বত্য অঞ্চলের বাঙালিরা হাজার থাকার সত্ত্বেও কোথায় ভাল কিছু করতে পারেনি যদিও বাঙালিরা সে অঞ্চলের মোট জনসংখ্যার অর্ধেক এবং উপজাতিদের তুলনায় দক্ষ।অগ্রাধিকারের নামে একচেটিয়া উপজাতীয় অদক্ষ যুবক নিয়োগের ফলে বঞ্চিত হচ্ছে বাঙালি শিক্ষিত যুবকেরা।’

বক্তারা আরো বলেন, ‘১৯৭৬ সালের পর থেকে অস্ত্রের মুখে, রাজনৈতিক চাপ প্রয়োগ করার মাধ্যমে যে কোন প্রতিষ্ঠানে একচেটিয়া পাহাড়ি যুবকদের নিয়োগ দিতে বাধ্য করছে পার্বত্য চট্টগ্রামের অনিবন্ধিত সংগঠন জনসংহতি সমিতি (জেএসএস), (ইউপিডিএফ) ও তার অঙ্গ সংগঠন পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ। পার্বত্য চট্টগ্রামের যেকোন সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে বর্তমানে চাকুরিরত পার্বত্য বাঙালি কর্মকর্তা কর্মচারী খুঁজে পাওয়া দুষ্কর। একদিকে সরকারের তরফ থেকে দেয়া উপজাতি অগ্রাধিকার কোঠা, অন্যদিকে আঞ্চলিক পরিষদের চাপ, প্রয়োজনে তাদের অস্ত্রের ব্যবহারে চলছে প্রতিনিয়ত সুবিধা আদায়ের কৌশল।’

শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Let's check your brain 93 − 88 =

একই ধরনের আরও সংবাদ
© All rights reserved 2022 CHT 360 degree