শীত মৌসুমের শুরুতেই খালে পানি শূন্যতা। উপায়ন্তর না পেয়ে খালেই চলছে ধান চাষ।
বিগত বছর গুলোতে খাল, বিল, নদী-নালা, পাহাড়ি ছড়া পানিতে ভরপুর ছিল। কৃষকেরা ছিল চাষাবাদে ব্যস্ত। কিন্ত এখন খাল-বিল শুকিয়ে যাওয়ায় প্রচুর পরিমাণ জমি অনাবাদি থেকে যাচ্ছে।
তারপরও চাষাবাদের জন্য নলকূপ বসিয়ে পানি তোলার চেষ্টা করছেন কৃষকরা।
সাবেক চেয়ারম্যান ও স্কিম বা সেচ ম্যানাজার মো. নুরুল হাকিম পার্বত্য নিউজকে জানান, পার্বত্য বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার বাইশারীতে দীর্ঘকাল যাবত এই শুকনো মৌসুমে অর্ধশত একর জমির সেচ খালের উপর বাঁধ দিয়ে চাষাবাদ করে আসছেন। কিন্ত এবছর খালে পানি না থাকায় বাঁধ দিয়েও কোন লাভ তো দুরের কথা উল্টো আরো ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। তবে তিনি হাল ছাড়েন নি। ডিপ টিউবওয়েল বসিয়ে নতুন করে পানির ব্যবস্থা করছেন।
স্থানীয় জনগণের দাবী, পাহাড়ে গাছপালা কম থাকায় পাহাড় ও শুকিয়ে যাচ্ছে। তাই পাহাড় থেকে পানি আসা বন্ধ হয়ে গেছে। খালে পানি না থাকায় এখন পুরো খাল জুড়ে ধান চাষ হচ্ছে বলে থোয়াইংগাকাটা এলাকার কৃষক আবু নছর, মোশাররফ আলী, নুরসহ অনেকেই জানান।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, পার্বত্য জেলা বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ির অধিকাংশ খাল (ফারির খাল, গর্জন খাল, আলীক্ষ্যং খাল, ইদগড় বড় ছড়া খাল, ছোট গর্জন খাল, বাকখালী, দৌছড়ি খাল ) নেই। বিলুপ্ত খাল এখন চাষের জমি ও ক্ষেত খামার এবং সবজি বাগানে পরিনত হয়েছে।
কৃষক আবুল শামা জানান, চাষাবাদের জন্য ধানের বীজ করা হয়েছে। এখন পানি না থাকায় তিনি দুঃ চিন্তায় রয়েছেন।
অন্যদিকে খাল শুকিয়ে যাওয়ায় বালি দূস্যরা তৎপর হয়ে পড়ে। ফলে দেদারসে চলছে বালি উত্তোলন। বর্তমানে রামু উপজেলার গর্জনিয়া ইউনিয়নের গর্জন খালে চলছে বালি আহরণ।
উল্লেখ্য, এভাবে বালু উত্তোলন চলতে থাকলে পাহাড়ি পরিবেশ ধ্বংস হয়ে যাবে বলে স্থানীয় সচেতন মহল অভিমত ব্যক্ত করেন।