সোমবার, ২৯ মে ২০২৩, ০৯:৪২ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
ঈদগাঁওয়ে পুকুর থেকে শিশুর লাশ উদ্ধার কুতুবদিয়ায় গরু লড়াইয়ে জিতে খুশিতে আত্মহারায় মৃত্যু কেএনএফ’র ঘাঁটি থেকে বিপুল পরিমাণ অস্ত্র, গোলাবারুদ ও সরঞ্জাম উদ্ধার চকরিয়ায় মারছা গাড়ির ধাক্কায় কলেজ ছাত্র নিহত ‘রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে বাংলাদেশের পাশে আছে ওআইসি’ দীঘিনালায় ৪০ লাখ টাকা ব্যয়ে নির্মিত ভিক্ষু নিবাস উদ্বোধন বরকলে বন্য হাতির আক্রমণে গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর সদস্যের মৃত্যু খাগড়াছড়িতে হত্যা মামলায় একই পরিবারের ৭ জনের যাবজ্জীবন খাগড়াছড়িতে বিএনপির ৩ শতাধিক নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে আ.লীগের পাল্টা মামলা রোহিঙ্গােদের জন্য তহবিল সংগ্রহ ও প্রত্যাবাসনে ওআইসিভুক্ত দেশগুলোর কাছে প্রধানমন্ত্রীর আহ্বান

শুকিয়ে গেছে খাল-বিল, কৃষকরা হতাশ

ডেস্ক রিপোর্ট
  • প্রকাশিত: শুক্রবার, ২৭ জানুয়ারী, ২০২৩
  • ১৫ পঠিত

শীত মৌসুমের শুরুতেই খালে পানি শূন্যতা।  উপায়ন্তর না পেয়ে খালেই চলছে ধান চাষ।

বিগত বছর গুলোতে খাল, বিল, নদী-নালা, পাহাড়ি ছড়া পানিতে ভরপুর ছিল।  কৃষকেরা ছিল চাষাবাদে ব্যস্ত।  কিন্ত এখন খাল-বিল শুকিয়ে যাওয়ায় প্রচুর পরিমাণ জমি অনাবাদি থেকে যাচ্ছে।

তারপরও চাষাবাদের জন্য নলকূপ বসিয়ে পানি তোলার চেষ্টা করছেন কৃষকরা।

সাবেক চেয়ারম্যান ও স্কিম বা সেচ ম্যানাজার মো. নুরুল হাকিম পার্বত্য নিউজকে জানান, পার্বত্য বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার বাইশারীতে দীর্ঘকাল যাবত এই শুকনো মৌসুমে অর্ধশত একর জমির সেচ খালের উপর বাঁধ দিয়ে চাষাবাদ করে আসছেন। কিন্ত এবছর খালে পানি না থাকায় বাঁধ দিয়েও কোন লাভ তো দুরের কথা উল্টো আরো ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। তবে তিনি হাল ছাড়েন নি। ডিপ টিউবওয়েল বসিয়ে নতুন করে পানির ব্যবস্থা করছেন।

স্থানীয় জনগণের দাবী, পাহাড়ে গাছপালা কম থাকায় পাহাড় ও শুকিয়ে যাচ্ছে। তাই পাহাড় থেকে পানি আসা বন্ধ হয়ে গেছে। খালে পানি না থাকায় এখন পুরো খাল জুড়ে ধান চাষ হচ্ছে বলে থোয়াইংগাকাটা এলাকার কৃষক আবু নছর, মোশাররফ আলী, নুরসহ অনেকেই জানান।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, পার্বত্য জেলা বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ির অধিকাংশ খাল (ফারির খাল, গর্জন খাল, আলীক্ষ্যং খাল, ইদগড় বড় ছড়া খাল, ছোট গর্জন খাল, বাকখালী, দৌছড়ি খাল ) নেই।  বিলুপ্ত খাল এখন চাষের জমি ও ক্ষেত খামার এবং সবজি বাগানে পরিনত হয়েছে।

কৃষক আবুল শামা জানান, চাষাবাদের জন্য ধানের বীজ করা হয়েছে।  এখন পানি না থাকায় তিনি দুঃ চিন্তায় রয়েছেন।

অন্যদিকে খাল শুকিয়ে যাওয়ায় বালি দূস্যরা তৎপর হয়ে পড়ে।  ফলে দেদারসে চলছে বালি উত্তোলন।  বর্তমানে রামু উপজেলার গর্জনিয়া ইউনিয়নের গর্জন খালে চলছে বালি আহরণ।

উল্লেখ্য, এভাবে বালু উত্তোলন চলতে থাকলে পাহাড়ি পরিবেশ ধ্বংস হয়ে যাবে বলে স্থানীয় সচেতন মহল অভিমত ব্যক্ত করেন।

শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Let's check your brain 13 + = 19

একই ধরনের আরও সংবাদ
© All rights reserved 2022 CHT 360 degree