পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের (পিসিবি) চেয়ারম্যানের পদ থেকে রমিজ রাজাকে বরখাস্ত করা হয়েছে। ইমরান খান পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী থাকাকালীন দেশটির ক্রিকেট বোর্ডের চেয়ারম্যান হয়েছিলেন রমিজ।
তবে এরপর ইমরান খান প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করায় রমিজেরও পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড থেকে বিদায়ের গুঞ্জন উঠেছিল।
ইংল্যান্ডের কাছে ৩-০ ব্যবধানে পরাজয়ের খেসারত দিতে হলো রমিজ রাজাকে। বোর্ডের চেয়ারম্যানের পদ থেকেই বরখাস্ত করা হলো তাকে। নতুন চেয়ারম্যান হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে নাজম শেঠিকে।
পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী পদাধিকার বলে পিসিবির চিফ অব প্যাট্রন। নিজের ক্ষমতাবলে শাহবাজ শরিফ রমিজ রাজাকে সরিয়ে দিয়েছে নাজম শেঠির নিয়োগে সবুজ সঙ্কেত দিয়েছেন।
পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের সংবিধান অনুযায়ী, চেয়ারম্যান পদের জন্য কয়েকজনকে মনোনীত করেন প্রধানমন্ত্রী। এরপর বোর্ডের সদস্যরা একজনকে নির্বাচিত করেন। শেষে তার নিয়োগে স্বাক্ষর করতে হয় আবার প্রধানমন্ত্রীকে।
ইমরান খান পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী থাকাকালীন একই পদ্ধতিতে পিসিবির চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পেয়েছিলেন রামিজ রাজা। ২০২১ সালের সেপ্টেম্বরে দায়িত্ব পান রমিজ। ঠিক এক বছর তিন মাসের মাথায় সরে যেতে হলো তাকে। পাকিস্তানের ক্ষমতার পটপরিবর্তনের সময় আলোচনা এসেছিল রমিজ রাজাকে নিয়ে। তখন ক্ষমতাসীনরা পিসিবিতে হস্তক্ষেপ করেননি। এবার ইংল্যান্ডের কাছে হোয়াইটওয়াশ হওয়ার পর বোর্ডের চেয়ারম্যানকেই সরিয়ে দিলো তারা।
এর আগেও পাক ক্রিকেট বোর্ডের চেয়ারম্যান থেকেছেন নাজম। ২০১৮ সালে ইমরানের সঙ্গে মতবিরোধ হওয়ায় নিজের পদ ছেড়ে দেন তিনি। সেই নাজমকেই আবার দায়িত্ব দেওয়া হলো। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ভারত এবং জিম্বাবুয়ের কাছে পাকিস্তানের হারের পরই রমিজ রাজাকে অপসারণের দাবি ওঠে। শেষ পর্যন্ত পাকিস্তান বিশ্বকাপের ফাইনালে ওঠার কারণে কিছুদিন চুপচাপ ছিলেন রমিজের সমালোচকরা।
তবে ঘরের মাঠে টেস্ট সিরিজে ইংল্যান্ডের কাছে বাবরদের ব্যর্থতায় আবার সরব হলেন তারা। দলের ব্যর্থতার জন্য পিসিবি চেয়ারম্যানের ভূমিকাকে দুষতে শুরু করেন।
তাদের সমালোচনার প্রসঙ্গ, নিম্নমানের টেস্ট উইকেট। সমালোচকদের দাবি, পিসিবি চেয়ারম্যান হিসেবে পাকিস্তান ক্রিকেটের কোনো উন্নতি করতে পারেননি রমিজ।