পার্বত্য বান্দরবান জেলার নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলায় অরণ্যে ঘেরা দুর্গম পাহাড়ি জনপদ বাইশারী। সেখানে সাধারণ মানুষের বসবাস দারিদ্র্য সীমার নিচে। মোটা কম্বল তো দূরের কথা দু’বেলা ভাত জোটাতে যাদেরকে এ পাহাড় থেকে ওই পাহাড়ে অবিরাম ছুঁটে চলতে হয় কাজের সন্ধানে সেসব শীতার্ত মানুষের পাশে আলহাজ্ব শামশুল হক ফাউন্ডেশন।
সোমবার (১৬ জানুয়ারি) সকাল ১০টায় বান্দরবানের বাইশারী মডেল নূরানী এবতেদায়ী মাদ্রাসার মাঠে চট্টগ্রামের আলহাজ্ব শামশুল হক ফাউন্ডেশন পরম মমতায় শীতার্ত ১০০ জন দুস্থ অসহায় মানুষের হাতে এ শীতবস্ত্র তুলে দেওয়া হয়।
এসময় উপস্থিত ছিলেন বাইশারী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. আলম কোম্পানি, নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মংলায়ে মারমা, নাইক্ষ্যংছড়ি প্রেসক্লাবের আহ্বায়ক আবদুল হামিদ, আলহাজ্ব শামশুল হক ফাউন্ডেশনের প্রতিনিধি সাংবাদিক আবদুর রশিদ, ইউনিয়ন আওয়ামী যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. নুরুল আলমসহ গণ্যমান্য ব্যক্তি বর্গ।
টাকার অভাবে কম্বল কিনতে না পারা ধোয়ার বাপের মারমা পাড়ার বাসিন্দা ৮০ বছর বয়সি এলানু মারমার কাছে একটি মোটা কম্বলই যেন পরম প্রাপ্তি।
১১০ বয়সি পেঠান আলী কম্বল হাতে নিয়েই আলহাজ্ব শামশুল হক ফাউন্ডেশনের জন্য দু’হাত তুলে দোয়া করলেন। দক্ষিণ বাইশারী এলাকার (৬৫) রিনা রানী ধর বলেন, অভাবের সংসার, প্রচণ্ড শীতে খুবই কষ্ট পেতাম। এ কম্বল কিছুটা হলেও উষ্ণতার ছোঁয়া দেবে।
শীতবস্ত্র পেয়ে মধ্যম বাইশারী বাসিন্দা নুর আয়সা (৭০) বলেন, শীত আসলে অনেক কষ্ট হয়। আগুন জ্বালিয়ে শীত নিবারণ করি। আলহাজ্ব শামশুল হক ফাউন্ডেশন কম্বল দিয়েছে এখন রাতে ঘুমাতে কষ্ট হবে না।
দুর্গম এলাকার শীতার্ত ও দুস্থ অসহায় অসুস্থ মানুষজনের পাশে দাঁড়াতে পারাটা সৌভাগ্যের মন্তব্য করে আলহাজ্ব শামশুল হক ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান প্রকৌশলী মো. নাছির উদ্দীন বলেন, আমাদের মানবিক কর্মতৎপরতা অব্যাহত আছে এবং পাহাড়ের শীতার্ত মানুষের পাশে থাকবে।