রাঙামাটির বাঘাইছড়ি উপজেলা সদর থেকে আনুমানিক ১৬ কিলোমিটার দূরে উত্তর বঙ্গলতলী এলাকায় পাহাড়ের দুই বড় আঞ্চলিক দল ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ) প্রসিতপন্থি ও জনসংহতি সমিতি (জেএসএস) সন্তু লারমা পন্থি সশস্ত্র ক্যাডারদের মধ্যে ভয়াবহ বন্দুক যুদ্ধ সংগঠিত হয়েছে।
রবিবার (১২ ফেব্রুয়ারি) বিকাল ৫টা ৫০ মিনিটে এই গুলাগুলি শুরু হয়ে প্রায় ৪৫ মিনিট ধরে একটানা গুলি বিনিময় ঘটে।
এতে উভয় পক্ষই আনুমানিক ৩০০ থেকে ৩৫০ রাউন্ড গুলি ছুড়ে বলে জানিয়েছে গ্রামবাসী। গুলাগুলির প্রচণ্ড শব্দে পুরো এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পরে।
বাঘাইছড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহাদাৎ হোসেন গুলাগুলির বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, আমরা স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানের কাছ থেকে সংবাদ পেয়েছি। এলাকাটি দুর্গম এবং সন্ধ্যা ঘনিয়ে আসায় তাৎক্ষণিক হতাহতের বিষয়ে কোন সঠিক তথ্য যাচাই-বাছাই করা সম্ভব হয়নি।
এদিকে সাজেক অঞ্চলের ইউপিডিএফের সমন্বয়ক আর্জেন্ট চাকমা গুলাগুলির কথা স্বীকার করে বলেন, জেএসএস এর ৩০ জনের সশস্ত্র ক্যাডার বিনা উসকানিতে ইউপিডিএফ নেতাকর্মীদের ওপর অতর্কিতভাবে গুলিবর্ষণ শুরু করে। তবে ইউপিডিএফের পাল্টা জবাবে তারা পালিয়ে যায়।
এবিষয়ে মতামত জানতে চাইলে জেএসএস সন্তু লারমা দলের নেতা ত্রিদিপ চাকমার ফোনে বেশ কয়েকবার চেষ্টা চালিয়েও কোন মন্তব্য পাওয়া যায়নি।
বাঘাইছড়ি উপজেলা নির্বাহী অফিসার রুমানা আক্তার বলেন, বেশ কিছুদিন ধরেই বঙ্গলতলী এলাকায় আঞ্চলিক দলের আনাগোনা বেড়েছে। ফলে নিরাপত্তা বাহিনীর নজরদারি বাড়ানো হয়েছে।