বান্দরবানে পাহাড় জুড়ে এখন শোভা পাচ্ছে নানান জাতের বড়ই বা কুলের বাগান। পাহাড়ে জুম চাষ করে এখন আর আগের মত লাভবান হওয়া যাচ্ছে না। তাই কৃষকরা ঝুঁকছে উন্নত জাতের কুলসহ বিভিন্ন ফল চাষের দিকে।
এ বছর বান্দরবান সদর উপজেলাসহ জেলার রুমা,থানচি, রোয়াংছড়ি উপজেলায় ব্যাপকহারে চাষ হয়েছে আপেল কুল, বাউকুল, কাশ্মিরী, বল সুন্দরীসহ নানা উন্নত জাতের বড়ই কুল চাষ। পাহাড়ে উৎপাদিত কুল দেখতে যেমন সুন্দর, স্বাদেও মিষ্টি হওয়ায় দিন দিন বাড়ছে এর চাহিদা। বিভিন্ন জাতের কুল চাষ করে স্বাবলম্বী হয়েছেন অনেক জুমিয়া কৃষক। ভক্সপপ-৩জন কুল চাষী ।
বান্দরবানের উৎপাদিত কুল স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে চলে যাচ্ছে জেলার বাইরে। জেলার বাইরের থেকে আসা পাইকারী ব্যবসায়ীরা বান্দরবান থেকে কুল সংগ্রহ করে সরবরাহ করছে চট্টগ্রাম ও ঢাকাসহ বিভিন্ন অঞ্চলে।
কৃষি বিভাগের উপ-পরিচালক কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর কৃষি বিভাগের কর্মকর্তা রফিকুল ইসলামের তথ্য মতে, গত বছর বান্দরবানে কুল চাষ হয়েছিলো ১ হাজার ৪৭৭ হেক্টর জমিতে। এ বছর চাষ হয়েছে ২ হাজার ৫৫০ হেক্টর জমিতে। যা গত বছরের তুলনায় ১ হাজার ৭৭ হেক্টর বেশি। উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে প্রতি হেক্টরে ৮ মেট্রিক টন।
তিনি আরও জানান, বান্দরবানে বিভিন্ন ফলের যে আবাদ হয়, তার মধ্যে কৃষকের চাহিদা এবং লাভজনক ফল কুল। কুলের উৎপাদন ও আবাদি এলাকা আগামীতে আরও বাড়বে বলে জানালেন।