বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশনের এক টাকার আহার কোনো সমস্যা নয়। প্রতিষ্ঠানটির হিসাবের স্বচ্ছতা নিয়ে যে প্রশ্ন উঠেছে বাংলাদেশ বিবেচনায় তাও ঠিক আছে। তবে বিদ্যানন্দের ব্যাপারে সবচেয়ে আশ্চর্যজনক তথ্য স্পর্শকাতর পাহাড়ি জনপদে শত বিঘা জমির মালিক হওয়া।
যে পাহাড়িরা তাদের জমি থেকে বাঙালি উচ্ছেদে যুগ যুগ সংগ্রাম করছে তারাই কি-না বিদ্যানন্দকে শতবিঘার বেশি জমি দান করছে! তাহলে বিদ্যানন্দের প্রতিষ্ঠাতা কিশোর কুমারকে বাঙালি হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে না? আর কারাই বা এতো জমি দিচ্ছে? তারা কি আদৌ সাধারণ পাহাড়ি নাকি ক্ষমতাধর কেউ? যাদের বিরুদ্ধে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিচ্ছিন্ন চেষ্টার অভিযোগ রয়েছে।
ধরা গেলো পাহাড়ের শিক্ষা উন্নয়নে বিদ্যানন্দকে জমি দিচ্ছেন সম্ভ্রান্ত পাহাড়িরা। তাহলে এতিমদের জন্য প্রতিষ্ঠিত জিয়া অরফানেজ ট্রাস্টকে কি পাহাড়িরা জমি দেবেন? জিয়ার কথা বাদ দিলাম। বঙ্গবন্ধুর নামে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে এমন বাংলাদেশপন্থী কোনো ফাউন্ডেশনে পাহাড়ি ভাইয়েরা কি জমি দেবেন? ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সুনজর পাওয়ার জন্য হয়তো দেবেন কিন্তু বিদ্যানন্দ যেভাবে পাহাড়ে জমি পাচ্ছে এতো ব্যাপক আকারে কি দেয়া হবে?
বাংলাদেশের সাধারণ মানুষ পাহাড়ের কঠিন রাজনীতি বুঝে না বা বুঝার চেষ্টা করে না। এই না বুঝার সুযোগে মানুষ সেবার আড়ালে বিদ্যানন্দ যদি বাংলাদেশের স্বার্বভৌমত্ব কারও হাতে তুলে দেবার চেষ্টা করে তা হবে জাতির জন্য সবচেয়ে বিপর্যয়কর অধ্যায়।