কক্সবাজারের নাজিরারটেক পয়েন্টের অদূরবর্তী সাগরে মাছ ধরতে গিয়ে ট্রলার ডুবিতে নিখোঁজ আরও তিন জেলের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
তারা হলেন, কক্সবাজার সদরের খুরুশকূল পূর্ব হামজার ডেইল এলাকার মৃত সুলতান আহমদের ছেলে হোসেন আহমদ, মামুন পাড়ার আবুল হোসেনের ছেলে আজিজুল হক ও হামজার ডেইল এলাকার নুরুল হকের ছেলে মোহাম্মদ আবছার। দুর্ঘটনার শিকার ট্রলারটি এখনো উদ্ধার হয়নি।
এর আগে শনিবার একই ইউনিয়নের মো. আইয়ুব ও সাইফুল ইসলামের লাশ উদ্ধার করা হয়। এই পর্যন্ত নিখোঁজ ৮ জেলের মধ্যে পাঁচজনের মৃতদেহ উদ্ধার হল। নিখোঁজ রয়েছে ৩ জন।
খবরের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন কক্সবাজার সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. সেলিম উদ্দিন।
তিনি জানিয়েছেন, রোববার (২১ আগস্ট) সকালে কক্সবাজারের বাঁকখালী নদীর মোহনা সংলগ্ন সাগরে স্থানীয় জেলেরা তিনটি মৃতদেহ ভাসতে দেখে। তারা অর্ধ-গলিত অবস্থায় মৃতদেহগুলো উদ্ধার করে ট্রলারে তুলে নেয়। পরে স্বজনরা মৃতদেহগুলো শনাক্ত করার পর খুরুশকুলে বাড়িতে নিয়ে যায়।
ওসি তদন্ত জানান, নিহতদের স্বজনরা লাশের ময়নাতদন্ত না করতে অতিরিক্ত জেলা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট বরাবরে আবেদন করেছেন।
গত শুক্রবার বিকালে কক্সবাজারের নাজিরারটেক পয়েন্টের অদূরবর্তী সাগরে বৈরী আবহাওয়ায় উত্তাল ঢেউয়ের আঘাতে এফবি মায়ের দোয়া নামের মাছ ধরার ট্রলার ডুবির ঘটনা ঘটে। মঙ্গলবার সদর উপজেলার খুরুশকূলের জনৈক জাকির হোসাইন বহদ্দারের মালিকাধীন এ ট্রলারটি ১৯ জেলে নিয়ে সাগরে মাছ ধরতে যায়। পরে ফেরার সময় ট্রলারটির দুর্ঘটনার শিকার হয়। ঘটনার খবর পেয়ে স্থানীয় কোস্টগার্ড সদস্য ও অন্য জেলেরা তাৎক্ষণিকভাবে ৮ জনকে উদ্ধার করলেও ১১ জন নিখোঁজ ছিল। পরে শুক্রবার রাতে সাগরে অবস্থানকারী বিভিন্ন ট্রলার নিখোঁজ থাকা ৩ জেলেকে উদ্ধার করে।