খাগড়াছড়ির মাটিরাঙ্গা উপজেলার তবলছড়িতে কুলসুমা আক্তার (আখি আক্তার, ২৮) নামে নিখোঁজ ৩ সন্তানের জননীকে পাওয়া গেছে।
বুধবার (২২ ফেব্রুয়ারি) নিখোঁজের বাবা হুদা মিয়া (৮০) মাটিরাঙ্গা থানায় বাদি হয়ে অভিযোগ করার একদিন পর তাকে খুঁজে পেয়েছেন স্বজনরা।
বৃহস্পতিবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) সন্ধায় কুমসুমা আক্তার ও বাদি হুদা মিয়া শরীরে থানায় উপস্থিত হয়ে অভিযোগ প্রত্যাহার করেন। এ সময় কুলসুমার ভাই সুফিয়ান ও বড় বোনের জামাই দাউদ মিয়া সাথে ছিলো।
ভুক্তভোগি কুলসুমা জানান, তার আগে স্বামী আবুল বশার আরো দুটি বিয়ে করেছিল। তাদের সাথে ছাড়াছাড়ি হলেও এক জনের সাথে এখনো পরকিয়ায় জড়িত রয়েছে।একারণে আমাদের সংসারে সব সময় অশান্তি বিরাজমান রয়েছে। বিভিন্ন অযুহাতে নিছক ঘটনাকে কেন্দ্র করে সব সময় আমার উপর অমানবিক নির্যাতন চালায়।
উল্লেখ্য, গত ২০ ফেব্রুয়ারি সকালে আমার থ্রি ফিস পড়াকে কেন্দ্র করে আমার শরীরের বিভিন্ন জায়গায় লাথি, কিল, ঘোষি ও পায়ের জুতা দিয়ে আঘাত করে। এতে আমি জ্ঞান হারিয়ে ফেলি। যখন আমার জ্ঞান ফিরে তখন রাত চারটা বাজে। তখন নিজের জীবন বাঁচাতে বাধ্য হয়ে স্বামীর বাড়ি থেকে রামগড়ে আত্মীয়র বাড়ি যাওয়ার উদ্দেশ্যে বের হই।
এ সময় অভিযুক্ত স্বামী আবুল বশর বলেন, ২০ ফেব্রুয়ারি সকালে পুরনো জামা পড়াকে কেন্দ্র করে কথা কাটাকাটির এক পর্যায় রাগের মাথায় আমি আমার স্ত্রী আখির (কুলসুমা) গায়ে হাত তুলেছি। পরে রাতে কোন এক সময় বাড়ি থেকে বের হয়ে যায়। ফলে ২১ ফেব্রুয়ারি সকাল থেকে তাকে আর খুঁজে পাওয়া যায়নি।
ভুক্তভোগির ভাই সুফিয়ান জানান, রামগড় এলাকা হতে তার এক বন্ধুর সহযোগিতায় অসুস্থ্য অবস্থায় কুলসুমাকে উদ্ধার করে মাটিরাঙ্গা থানাকে অবহিত করা হয়েছে। পরে মাটিরাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে জরুরী বিভাগে চিৎিসা দেয়া হয়েছে।
মাটিরাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তব্যরত চিকিৎসক সাফায়েত উল্লাহ জানান, ভুক্তভোগির শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। কি ধরনের যখম হয়েছে তা পরীক্ষা-নিরিক্ষার রিপোর্ট দেখা ছাড়া বলা যাচ্ছে না।
এ বিষয়ে মাটিরাঙ্গা থানা অফিসার/ইনচার্জ জাকারিয়া বলেন, ভুক্তভোগির বাবা হুদা মিয়া নিখোঁজ মেয়েকে খুঁজে পেয়ে মেয়েসহ থানায় এসে অভিযোগ প্রত্যাহার করেছে। বিষয়টি স্থানীয়ভাবে সমাধান করার কথা রয়েছে। থানায় অভিযোগ করা হলে বিধি মোতাবেক প্রয়োজনীয় আইনি পদক্ষেপ গ্রহন করা হবে।