খাগড়াছড়ির মাটিরাঙ্গা উপজেলার তবলছড়িতে কুলসুমা আক্তার (২৮) নামে ৩ সন্তানের জননী নিখোঁজ হওয়ার অভিযোগ উঠেছে।
বুধবার (২২ফেব্রুয়ারি) নিখোঁজের বাবা হুদা মিয়া (৮০) মাটিরাঙ্গা থানায় বাদি হয়ে অভিযোগ করেন।
এ সময় অভিযোগে বলা হয়, তবলছড়ি দেওয়ান পাড়ার বাসিন্দা হুদা মিয়ার মেয়ে কুলসুমা আক্তারের সাথে একই ইউনিয়নের গৌরাঙ্গপাড়ার হাবিব খলিফার ছেলে আবুল বশরের সাথে ১৫ বছর আগে সামাজিকভাবে বিয়ে হয়। তাদের সংসারে ২ ছেলে ও ১ মেয়ে সন্তান রয়েছে। বিয়ের কিছু দিন পর থেকে একই এলাকার জরিনা খাতুন নামে অন্য এক গৃহবধুর সাথে পরোকিয়ায় জড়িয়ে পড়ে কুলসুমার স্বামী আবুল বশার। তারপর থেকে যৌতুকসহ নানা অযুহাতে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনের শিকার হয় কুলসুমা।
গত ১৪ফেব্রুয়ারি ৫০ হাজার টাকা যৌতুকের দাবি নিয়ে কুলসুমাসহ কুলসুমার বাবার বাড়িতে আসে বশার। আর্থিক অসচ্ছলতার কারণে টাকা দিতে অপারগতা জানালে শ্বশুর বাড়িতে কোন খাবার না খেয়ে স্ত্রী কুলসুমাকে নিয়ে বাড়ি ফিরে যায় বশর।
সোমবার ( ২০ ফেব্রুয়ারি) যৌতুকের টাকার জন্য কুলসুমাকে অমানবিক শারীরিক নির্যাতনের পর মেয়ে গুরুতর অসুস্থ্য বলে ফোন করে জানানো হয় । স্থানীর সর্দারকে সাথে নিয়ে মেয়েকে দেখতে গেলে অজ্ঞান অবস্থায় হাতে স্যালাইন লাগানো দেখতে পায় বলে জানান মেয়ের বাবা হুদা মিয়া।
মঙ্গলবার (২১ ফেব্রুয়ারি) সকালে ঐ দিন রাত থেকে কুলসুমাকে পাওয়া যাচ্ছে না বলে মেয়ের বাবাকে জানায় বশর। অনেক খোজাখুজি করে না পেয়ে বিষয়টি স্থানীয় চেয়ারম্যানকে জানালে, চেয়ারম্যান থানায় জিডি করতে পরমর্শ দেন বলে জানিয়েছেন মেয়ের বাবা হুদা মিয়া।
এ বিষয়ে স্থানীয় ওয়ার্ড মেম্বার শহীদুল ইসলাম বলেন, স্বামী স্ত্রীর মাঝে মারামারি হয়েছে পরে শুনেছি। ধারনা করছি অভিমান করে মেয়েটি আত্মগোপন করে আছে। এছাড়া অন্য কিছু না।
এছাড়া তবলছড়ি ইউপি চেয়ারম্যান আবুল কাশেম ভুইয়া মুঠোফোনে উক্ত বিষয়ে জানান, তাদের স্বামী স্ত্রীর মধ্যে মারামারি হয়েছে সত্য, এর পর মেয়েটি কি পালিয়ে গেছে, নাকি মেরে ফেলে দিছে সেটা আমি কিভাবে জানবো?
এ সময় মাটিরাঙ্গা থানা অফিসার ইনচার্জ জাকারিয়া বলেন, উক্ত বিষয় ভুক্তভোগীর বাবা হুদা মিয়া থানায় উপস্থিত হয়ে একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন।
পরবর্তী আইনি পদক্ষেপ গ্রহনে পুলিশের কার্যক্রম চলমান রয়েছে বলে জানা যায়।