কক্সবাজারের চকরিয়ায় বালু মহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইন ২০১০ ও পরিবেশ আইন লঙ্ঘন করে অবৈধভাবে মাতামুহুরী নদী থেকে সেলোমেশিন বসিয়ে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান চালানো হয়েছে। অভিযানে নদীতে ভাসমান বেইজের উপর স্থাপিত ২টি সেলোমেশিন ও বিপুল পরিমাণ পাইপ জব্দ করা হয়। এছাড়াও বালি পরিবহণে ব্যবহৃত একটি পিকআপ গাড়িসহ বিপুল পরিমাণ পাইপ জব্দ করেছে আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট।
বুধবার (১৯ অক্টোবর) বেলা সাড়ে ১১টা থেকে বিকাল ৩টা পর্যন্ত মাতামুহুরী নদীর পূর্ব বড় ভেওলাস্থ সেকান্দর পাড়া ও বাটাখালী ব্রিজ পয়েন্ট এলাকায় উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রাহাত উজ জামানের নেতৃত্বে এ অভিযান পরিচালনা করেন।
অভিযান সূত্রে জানা যায়, উপজেলার পূর্ব বড় ভেওলা ইউনিয়নস্থ সেকান্দর পাড়া ও বাটাখালী ব্রিজ পয়েন্টের পৌরসভাস্থ খোন্দকার পাড়া এলাকায় মাতামুহুরী নদীতে ভাসমান বেইজের ওপর সেলোমেশিন বসিয়ে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করে আসছিল কতিপয় অসাধু বালু ব্যবসায়ী। বিষয়টি প্রশাসনের নজরে আসলে বুধবার দুপুরের দিকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে উপজেলা প্রশাসনের ভ্রাম্যমাণ আদালতের টিম অভিযান চালায়। অভিযানের সময় মাতামুহুরী নদীর দুটি পয়েন্ট থেকে বালি উত্তোলন কাজে ব্যবহৃত দুটি সেলোমেশিন ও একটি পিকআপ গাড়িসহ বিপুল পরিমাণ পাইপ জব্দ করেন। এসময় আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট অবৈধ বালি উত্তোলনে ব্যবহৃত আরো চারটি মেশিন গুড়িয়ে ধ্বংস করেন।
অভিযান ব্যাপারে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) রাহাত উজ জামান বলেন, মাতামুহুরীর নদীর বিভিন্ন পয়েন্টে দীর্ঘদিন ধরে এক শ্রেণির অসাধু ব্যক্তি অনুমোদন ব্যতীত আইন লঙ্ঘন করে নদী থেকে সেলোমেশিন বসিয়ে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করে আসছিল। এ অবস্থার কারণে সরকার বিপুল অংকের রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। এনিয়ে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষথেকে ইতিপূর্বে অবৈধ বালু উত্তোলনের বিরুদ্ধে কয়েকদফা অভিযানও চালানো হয়। এছাড়াও বালি উত্তোলন কাজে জড়িতদের প্রশাসন থেকে তাগাদা দিয়ে জানানো হয়েছিল। প্রশাসনের নির্দেশনা অমান্য করে সেলোমেশিন বসিয়ে বালু উত্তোলন বন্ধ না হাওয়ায় বিষয়টি প্রশাসনের নজরে আসলে দুপুর থেকে বিকাল পর্যন্ত অভিযান পরিচালনা করা হয়।
তিনি আরো বলেন, অভিযানের সময় বালু পয়েন্ট থেকে ভাসমান বেইজের ওপরে বসানো ২টি মেশিন, একটি পিকআপ গাড়ি ও বিপুল পরিমাণ পাইপ জব্দ করা হয়েছে। এছাড়াও অভিযানের সময় চারটি মেশিন গুড়িয়ে ধ্বংস করা হয়। বালি উত্তোলনে জড়িতরা পালিয়ে যাওয়ায় কাউকে আটক করা সম্ভব হয়নি। যে সমস্ত ব্যাক্তিরা অবৈধ ভাবে বালি উত্তোলনে জড়িত থাকবে তাদের বিরুদ্ধে প্রশাসনের এ অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে তিনি জানান। ##