খাগড়াছড়ির গুইমারা উপজেলার জালিয়াপাড়া-সিন্দুকছড়ি সড়কে কাঠ বোঝাই ট্রাক উল্টে মানিকছড়ি উপজেলার ২ শ্রমিক নিহত ও ৯ জন আহত হয়েছে। আহতের মধ্যে গুরুত্বর মো. আলমগীর হোসেন (৪০), পিতা- ইউছুফ আলীকে চমেক হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। নিহতের স্বজনদের আহাজারিতে হাসপাতাল প্রাঙ্গণের পরিবেশ ভারী হয়ে উঠছে।
হতাহতদের পরিবার ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার (২৩ আগস্ট) রাত ৪টার পর মানিকছড়ি উপজেলার গচ্ছাবিল এলাকা থেকে ট্রাক নম্বর চট্টমেট্রো-ট-২৪-৩০৩৯ নিয়ে চালক মো. মাসুদ হোসেন ১০ জন শ্রমিক নিয়ে গুইমারার সিন্দুকছড়ি এলাকায় যায়। সেখানে কাঠ বোঝাই শেষে সকাল ৭টার পর গচ্ছাবিলের উদ্দেশ্য রওয়ানা হয়ে তৈকর্মা এলাকায় এসে ট্রাকটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে মূল সড়কে উল্টে যায়! এতে কাঠের নিচে চাপা পড়ে শ্রমিকরা। এলাকার লোকজন প্রথমে এগিয়ে এসে উদ্ধার করে গুরুত্বর সকল শ্রমিককে মানিকছড়ি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রেরণ করেন। হাসপাতাল আনার পথে রাজু আহম্মদ (২৮), পিতা-মো. আলতাফ হোসেন, মো. ইলিয়াছ হোসেন (৩৫) পিতা- আবদুল কাদের মৃত্যুবরণ করেন।
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আহতরা হলেন, মো. আমিনুল ইসলাম (৫০), পিতা- মো. মনছুর আলী, আবু সালেহ (৩২), পিতা- সুলতান আহমদ, শাহ জামাল (৩৮), পিতা- হাতেম আলী, সাদ্দাম হোসেন (৩৫), পিতা-ফুল মিয়া, মো. কিছল মিয়া (৩৫), পিতা- মো. হানিফ, মো. আলমগীর হোসেন (৪০), পিতা- ইউছুপ আলী, মো. সোহেল রানা (২২), পিতা- আবুল কালাম, মো.ইউছুপ মিয়া (৩৭) পিতা- জহুর আলী, অহিদুল ইসলাম (৩২), নুরু মিয়া। আহত চালক মো. মাসুদ হোসেন (২৫), পিতা- আবদুল খালেক অন্যত্র চিকিৎসা নিচ্ছেন বলে বিশ্বস্ত সূত্র নিশ্চিত করেছেন। হতাহত সকলেই গচ্ছাবিলের অধিবাসী। নিহত রাজু আহম্মদের স্ত্রী, ১ ছেলে, ১ মেয়ে ও ইলিয়াছ হোসেনের স্ত্রী ও ৩ কন্যা সন্তান রয়েছে।
হাসপাতালে চিকিৎসক ডা. মহি উদ্দীন জানান, নিহতরা হাসপাতালে আসার পথে মারা গেছে। আহতদের মধ্যে ১ জনকে চমেক হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। অন্যদেরকে ভর্তি করা হয়েছে।
মানিকছড়ি থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ শাহনূর আলম জানান, নিহতদের সুরতহাল শেষে দুর্ঘটনাস্থল গুইমারা থানার অধীনে হওয়ায় গুইমারা পুলিশের কাছে মরদেহ হস্তান্তর করা হয়েছে।