বান্দরবান নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তে মিয়ানমারের অভ্যন্তরে তুমব্রু রাইট পয়েন্ট থেকে আরাকান আর্মিকে দমনে দফায় দফায় মর্টার শেলে নিক্ষেপ করেছে মিয়ানমার সেনাবাহিনী। এমনটাই নিশ্চিত করেন সীমান্তে বসবাসরত স্থানীয় বাসিন্দারা।
প্রত্যক্ষদর্শীরা বলছেন, বৃহস্পতিবার (৩ নভেম্বর) সন্ধ্যায় মিয়ানমার অভ্যন্তরে বিদ্রোহী আরকান আর্মির সদস্যরা আড়াল থেকে মিয়ানমার সেনাবাহিনীকে লক্ষ্য করে গুলি চালায়। এর জবাবে বৃহস্পতিবার (৩ নভেম্বর) গভীর রাতে এ বিদ্রোহীদের দমনে যুদ্ধ বিমান থেকে গোলা নিক্ষেপ করে মিয়ানমার সেনাবাহিনী। যেসব গোলাগুলির শব্দ ৪৫নং পিলার এলাকা বসবাসরত বাসিন্দরা শুনতে পান।
তাদের একজন কৃষক নুরুল আমিন। তিনি জানান, বৃহস্পতিবার (৩ নভেম্বর) রাত ১টার দিকে হঠাৎ একটি যুদ্ধ বিমান ৪৫নং পিলারের অদূরে মিয়ানমারের দু’বাহিনীর মধ্যে সংঘর্ষে এ ঘটনা ঘটে।
অপর ঘটনা ঘটে সীমান্তের ৩৪ পিলারের বিপরীতে মিয়ানমার সেনা ছাউনী তুমব্রু রাইট ক্যাম্পে।
শুক্রবার (৪ নভেম্বর) জুমার নামাজের পর থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত এ ক্যাম্প থেকে পরপর ৬ রাউন্ড মর্টার শেলের গোলাবর্ষণ করে মিয়ানমার
সেনাবাহিনী। মর্টার শেলের বিকট শব্দে মানুষের মাঝে আতঙ্ক ছড়ি পড়ে। তবে এ ঘটনায় স্থানীয় নিজ নিজ বাড়িতে অবস্থান করছে বলে জানা যায়।
এ ঘটনা সত্যতা নিশ্চিত করেন ব্যবসায়ী আবদুল জলিল, আবদুল জাব্বার, আমির শরীফ ও ব্যবসায়ী আলী আকবর।
চেয়ারম্যান জাহাঙ্গির আজিজ বলেন, শুক্রবার জুমার নামাজরত অবস্থায় মর্টার শেলের আওয়াজ শোনেন তিনি।
মুসল্লী শফিক আহমদ জানান, তিনি নামাজরত অবস্থায় গোলার আওয়াজ শুনে ভয় পেয়েছেন ।
সীমান্তের দায়িত্বরত ১১ বিজিবি অধিনায়ক লে. কর্নেল রেজাউল করিম বলেন, আসলে যা ঘটেছে তা সে দেশের অভ্যন্তরে। বৃহস্পতিবার (৩ নভেম্বর) রাতে বিমান ঘুরে যাওয়ার বিষয়ও তাদের অনেক অভ্যন্তরে। গোলা বিস্ফোরণের আওয়াজ শুনেছে এ দেশের মানুষ। তবে নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তের পূর্বাংশে আতঙ্ক নেই ।
তিনি আরো বলেন, তার দায়িত্বপূর্ণ ৪৩নং থেকে ৫২নং পিলার সীমান্ত এলাকায় বিজিবি সর্তক আছে। নিয়মিত টহল জোরদার রয়েছে।