রবিবার, ০১ অক্টোবর ২০২৩, ০৪:০৬ অপরাহ্ন

মিয়ানমার জান্তার ওপর আরো চাপ প্রয়োগের দাবি যুক্তরাষ্ট্রের

ডেস্ক রিপোর্ট
  • প্রকাশিত: শুক্রবার, ২৩ সেপ্টেম্বর, ২০২২
  • ২৬ পঠিত

মিয়ানমারে জান্তা রাষ্ট্র ক্ষমতায় আসার পর থেকেই দেশে বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি হয়েছে। চলতি মাসে একটি বিমান হামলায় ১১ জন স্কুল শিশুর মৃত্যু। এসব কারণে জান্তা সরকারের ওপর আরো চাপ প্রয়োগের জন্য জাতিসংঘের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। একই সঙ্গে মিয়ানমারের আসন্ন নির্বাচনকে স্বীকৃতি না দিতেও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে দেশটি।

বৃহস্পতিবার (২২ সেপ্টেম্বর) সিনিয়র এক কর্মকর্তা যুক্তরাষ্ট্রের এ অবস্থানের কথা তুলে ধরেছেন। ফরাসি বার্তা সংস্থা এএফপি এ খবর জানিয়েছে।

জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের বার্ষিক অধিবেশন চলাকালীন মিয়ানমার বিষয়ে মার্কিন কূটনীতির নেতৃত্বদানকারী পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কাউন্সেলর ডেরেক চোলেট বলেন, ‘জান্তা শাসকদের ওপর আরও চাপ প্রয়োগের ব্যাপারে এখানে ব্যাপক সম্মতি রয়েছে।

ডেরেক চোলেট চলতি মাসে একটি বিমান হামলায় ১১ জন স্কুল শিশুর মৃত্যু এবং জুলাই মাসে জান্তা কর্তৃক চার বিশিষ্ট বন্দির মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। গণতন্ত্রের এক দশকব্যাপী পরীক্ষা শেষ করে ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে সামরিক জান্তা নির্বাচিত সরকারকে ছুড়ে ফেলে দিয়েছে।

তিনি বলেছেন, তিনি অন্যান্য সরকার এবং ক্ষমতাচ্যুত বেসামরিক নেতা অং সান সু চি’র পার্টি দ্বারা প্রভাবিত জাতীয় ঐক্য সরকারের প্রতিনিধিদের সঙ্গে আলোচনা করেছেন। বার্মা নামে পরিচিত দেশের অভ্যন্তরে সশস্ত্র জাতিগোষ্ঠীর সঙ্গে একটি ভার্চুয়াল বৈঠক করেছেন। তিনি নিরাপত্তা পরিষদের একটি প্রস্তাবের বিষয়ে অন্যান্য দেশের সঙ্গে কথা বলেছেন, যদিও প্রচেষ্টাটি ‘খুব প্রাথমিক পর্যায়ে’, এখনও সুনির্দিষ্টভাবে স্পষ্ট নয়।

তিনি মিয়ানমারের সামরিক বাহিনীর পক্ষে ভেটো ক্ষমতার অধিকারী মিত্রদের কথা উল্লেখ করে বলেন, ‘আমরা মনে করি যে রাশিয়া ও চীন কাউন্সিলকে পদক্ষেপ নিতে দিতে কতদূর ইচ্ছুক সে বিষয়ে আমাদের সবাইকে বাস্তববাদী হতে হবে।’

তিনি বলেন, ‘আমরা মনে করি এই চেষ্টা চালানোটি গুরুত্বপূর্ণ। তিনি বলেন, আগামী আগস্টে জান্তার নির্বাচনের পরিকল্পনা রয়েছে। অর্ধেকের মতো অঞ্চলে সরকারের নিয়ন্ত্রণ নেই, রাজনৈতিক বন্দিদের আটক করে রেখে হত্যা করা হয়েছে এবং অং সান সু চি মূলত বিচ্ছিন্ন অবস্থায় রয়েছেন এবং ২০ মাস ধরে কেউ তাকে দেখেনি। এ অবস্থায় আমি তাদের বলেছিলাম যে এই নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হতে পারে এমন কোনও সম্ভাবনা আমরা দেখতে পাচ্ছি না।’

এর আগে বৃহস্পতিবার, মিয়ানমারের মানবাধিকার পরিস্থিতির বিষয়ে জাতিসংঘের বিশেষ প্রতিবেদক টমাস অ্যান্ডুজস সতর্ক করে দিয়েছিলেন যে নির্বাচনে ‘জালিয়াতি’ হবে।

সূত্র: বাসস

শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Let's check your brain + 81 = 87

একই ধরনের আরও সংবাদ
© All rights reserved 2022 CHT 360 degree