শনিবার, ২৫ মার্চ ২০২৩, ০১:১০ অপরাহ্ন

রোহিঙ্গা ইস্যুতে বাংলাদেশের পাশে থাকার আশ্বাস ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রীর

ডেস্ক রিপোর্ট
  • প্রকাশিত: সোমবার, ১০ অক্টোবর, ২০২২
  • ১২ পঠিত

বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আব্দুল মোমেনের সঙ্গে ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী জেমস ক্লেভারলির সাথে সোমবার (১০ অক্টোবর) বিকালে সৌজন্য ফোনালাপ হয়েছে।

গত মাসে ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসাবে দায়িত্বগ্রহণের পর বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে এটিই তার প্রথম ফোনালাপ।

এ সময় বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী নবনিযুক্ত ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে অভিনন্দন জানান।

রানী এলিজাবেথের শেষকৃত্য অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী এটিকে বাংলাদেশ-যুক্তরাজ্য দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের অন্যতম মাইলফলক হিসাবে উল্লেখ করেন।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।

প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ফোনালাপে বাংলাদেশ-যুক্তরাজ্য দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক উন্নয়নে যুক্তরাজ্যে অবস্থানরত অভিবাসী বাংলাদেশিদের অবদান, দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য, বিনিয়োগ সম্পর্ক, বহুপাক্ষিক বিভিন্ন ক্ষেত্রে সহযোগিতার বিষয়ে দুই দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর মধ্যে আলোচনা হয়। গত বছর বাংলাদেশ ও যুক্তরাজ্যের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপনের বিষয়টি বিশেষভাবে উল্লেখ করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মোমেন। চলমান সংঘাত (রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ) এবং এর ফলে সৃষ্ট খাদ্য ও জ্বালানি সংকটের বিষয়টি আলোচনায় স্থান পায়।

(রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ প্রসঙ্গে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মোমেন উল্লেখ করেন যে, সংঘাতের কারণে সাধারণ মানুষ বিশেষ করে উন্নয়নশীল দেশের মানুষ বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী শান্তিপূর্ণ উপায়ে আলোচনার মাধ্যমে সংকট সমাধানে উদ্যোগ গ্রহণের ওপর গুরুত্বারোপ করেন।

রোহিঙ্গা ইস্যুতে সবসময় বাংলাদেশের পাশে থাকার জন্য ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মোমেন। এ সময় রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন সফল করার জন্য যুক্তরাজ্যের পক্ষ থেকে আরও জোরালো এবং কার্যকরী ভূমিকা রাখার জন্য ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে অনুরোধ করেন।

রোহিঙ্গা ইস্যুতে বিভিন্ন ফোরামে বাংলাদেশের পাশে থাকার দৃঢ় আশ্বাস প্রদান করেন ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী।

এছাড়া জলবায়ু ইস্যুতে বাংলাদেশের ভূমিকার প্রশংসা করেন তিনি। সৌজন্য ফোনালাপের সময় দুই দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সার্বিক দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের বিষয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেন এবং দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আরও জোরদার করার বিষয়ে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Let's check your brain − 4 = 4

একই ধরনের আরও সংবাদ
© All rights reserved 2022 CHT 360 degree