বুধবার, ০৪ অক্টোবর ২০২৩, ০৬:৪০ অপরাহ্ন

রোহিঙ্গা ইস্যু বাদে মিয়ানমার সংকট সমাধানে আসিয়ানের ৫ দফা শান্তি পরিকল্পনা

ডেস্ক রিপোর্ট
  • প্রকাশিত: বুধবার, ৬ সেপ্টেম্বর, ২০২৩
  • ১১ পঠিত

মিয়ানমার জান্তা সরকারের নির্যাতনের মুখে ২০১৭ সালে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয় লাখ লাখ রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী। যা বর্তমানে বাংলাদেশের জন্য এখন রীতিমত হুমকির কারন হয়ে দাড়িয়েছে। অথচ রোহিঙ্গা ইস্যু বাদ দিয়ে মিয়ানমারে চলমান সহিংসতা ও সংকট নিরসনে নতুন ‘পদ্ধতির’ বিষয়ে সম্মত হয়েছেন দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোর জোট আসিয়ানের নেতারা।

গতকাল মঙ্গলবার (৫ সেপ্টেম্বর) ইন্দোনেশিয়ার জাকার্তায় চলমান আসিয়ানের তিন দিনব্যাপী সম্মেলনে মিয়ানমারের সংকট নিরসনে পাঁচ দফা শান্তি পরিকল্পনা প্রস্তাব করা হয়েছে। তবে এতে রোহিঙ্গা বিষয়ে স্পষ্ট কোনো প্রস্তাব নেই।

মঙ্গলবার আসিয়ানের পক্ষ থেকে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, আসিয়ানের ১০টি সদস্য দেশ এ বিষয়ে সম্মত হয়েছে যে মিয়ানমারের সংকট নিরসনে তিন সদস্যবিশিষ্ট একটি কমিটি গঠন করা হবে এবং শান্তি আনতে পাঁচ দফা পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করা হবে।

সম্মেলনে আসিয়ানের নেতারা স্বীকার করে নেন যে, এর আগে ২০২১ সালে অভ্যুত্থানের পরপরই প্রথমবারের মতো পাঁচ দফা শান্তি পরিকল্পনা পেশ করা হলেও তা বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে খুব একটা অগ্রগতি হয়নি। তবে জোট নেতারা আশা প্রকাশ করেছেন, মিয়ানমারে শান্তি ফিরিয়ে আনতে এই পাঁচ দফা বাস্তবায়নের কোনো বিকল্প নেই।

আসিয়ান প্রস্তাবিত পাঁচ দফার মধ্যে সহিংসতা বন্ধ, পক্ষগুলোর মধ্যে সংলাপ শুরু, মিয়ানমারে আসিয়ানের দূত নিয়োগ, দেশটিতে আসিয়ানের তরফ থেকে মানবিক সহায়তা এবং আসিয়ানের বিশেষ দূতের মিয়ানমার সফর। তবে এই প্রস্তাবে কোথাও রোহিঙ্গা ইস্যুতে স্পষ্ট কোনো মন্তব্য করা হয়নি।

বিবৃতিতে বৈঠকে আসিয়ানের নেতারা মিয়ানমারের জান্তা সরকারের প্রতি বেসামরিক জনতা, তাদের বাড়িঘর,সম্পত্তি, স্কুল, হাসপাতাল, মার্কেট, চার্চ এবং বিভিন্ন আশ্রমের ওপর হামলা বন্ধের আহ্বান জানিয়েছেন। বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, আসিয়ান মিয়ানমারের সংকট নিরসনে সংশ্লিষ্ট অংশীদারদের সঙ্গে যোগাযোগ অব্যাহত রাখবে, যাতে পক্ষগুলোর মধ্যে বিশ্বাস বাড়ানো যায় এবং মিয়ানমারের বিভিন্ন পক্ষের সমন্বয়ে গঠিত পক্ষের মধ্যমেই স্থায়ী ও অন্তর্ভুক্তিমূলক শান্তি নিশ্চিতের চেষ্টা করা যায়।

বিবৃতিতে মিয়ানমারের নেতারা আরও বলেন, ‘আমরা চলমান সংকটের শান্তিপূর্ণ ও টেকসই সমাধান খুঁজতে মিয়ানমারকে সহায়তার জন্য আসিয়ানের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করছি, কারণ মিয়ানমার আসিয়ানের অবিচ্ছেদ্য অংশ।’

উল্লেখ্য, ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারি মাসের প্রথম দিকেই অং সান সু চি সরকারের বিরুদ্ধে অভ্যুত্থানে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী ক্ষমতা দখলের পর থেকে হাজার হাজার মানুষ মারা গেছে এবং অভ্যন্তরীণভাবে বাস্তুচ্যুত হয়েছে কয়েক লাখ মানুষ। এর পর থেকেই দেশটির সঙ্গে দূরত্ব বজায় রাখছে আসিয়ান। তারই ধারাবাহিকতায় বৈঠকে আরও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে যে, ২০২৬ সালে মিয়ানমারের পরিবর্তে বৈঠকে সভাপতিত্ব করবে ফিলিপাইন।

শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Let's check your brain 37 + = 45

একই ধরনের আরও সংবাদ
© All rights reserved 2022 CHT 360 degree