রোহিঙ্গা নেতা মুহিবুল্লাহ হত্যা মামলায় সাক্ষ্য দিয়েছেন আরো দুইজন। তারা হলেন, হামিদ মাঝি ও নুরে আলম।
মঙ্গলবার (১ নভেম্বর) দুপুরে কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক আবদুল্লাহ আল মামুন তাদের সাক্ষ্যগ্রহণ করেন।
এর আগে সোমবার (৩১ অক্টোবর) মামলার বাদী ও ১ নম্বর সাক্ষী নিহত মুহিবুল্লাহর ছোট ভাই হাবিবুল্লাহ প্রথম সাক্ষ্য দেন।
এ নিয়ে এই মামলায় তিনজনের সাক্ষ্য গ্রহণ হলো।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোকেট ফরিদুল আলম।
তবে, তিনিসহ সাক্ষীরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে বলে জানান। মামলা সংশ্লিষ্ট সবার নিরাপত্তা দাবি করেন রাষ্ট্রপক্ষের এই কৌঁসুলি।
মূলত সোমবার বাদীর সাক্ষ্য গ্রহণের মাধ্যমে রোহিঙ্গা নেতা মুহিবুল্লাহ হত্যা মামলার আনুষ্ঠানিক বিচার কার্যক্রম শুরু হয়েছে।
মিয়ানমার থেকে বাস্তুচ্যূত হয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের নিজ দেশে প্রত্যাবাসনের জন্য জোরালোভাবে ভূমিকা পালনকারী আরাকান রোহিঙ্গা সোসাইটি ফর পিস অ্যান্ড হিউম্যান রাইটস (এ আরএস পি এইচ)-এর চেয়ারম্যান মুহিবুল্লাহ গত বছরের ২৯ সেপ্টেম্বর রাতে উখিয়ার বৃহত্তর কুতুপালংয়ের লম্বাশিয়া ক্যাম্পের ডি-ব্লকে তার সংস্থার কার্যালয়ে মুখোশধারী বন্দুকধারীদের গুলিতে নিহত হন। তার মৃত্যুর ঘটনা দেশ-বিদেশে ব্যাপক আলোচিত হয়।
হত্যাকাণ্ডের পরদিন মুহিবুল্লাহর ছোট ভাই হাবিবুল্লাহ বাদী হয়ে উখিয়া থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। দীর্ঘ সাড়ে ৮ মাস তদন্ত শেষে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা উখিয়া থানার পরিদর্শক (তদন্ত) গাজী সালাহ উদ্দীন ২৯ জনকে আসামি করে আদালতে অভিযোগপত্র (চার্জশিট) দাখিল করেন।
৭ জনের নাম-ঠিকানা পাওয়া যায়নি উল্লেখ করে তাদের মামলা থেকে অব্যাহতি দেওয়ার আবেদন জানান তদন্তকারী কর্মকর্তা।
অভিযোগপত্রে ৩৮ জনের নাম ঠিকানা রয়েছে সাক্ষীর তালিকায়।
শুনানী শেষে ১১ সেপ্টেম্বর ২৯ জন আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ (চার্জ) গঠন করেন আদালত।
বর্তমানে মুহিবুল্লাহর পরিবারের ২৫ জন কানাডায় বসবাস করছেন। প্রথম দফায় ৩১ মার্চ স্ত্রীসহ ১১ জন এবং দ্বিতীয় দফায় ২৫ সেপ্টেম্বর ১৪ জন ক্যাম্প থেকে কানাডা পাড়ি জমান জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থার সহায়তায়। তবে মামলার বাদী মুহিবুল্লাহর ছোটভাই হাবিবুল্লাহ বর্তমানে কড়া নিরাপত্তায় ক্যাম্পে অবস্থান করছেন।