রবিবার, ০৪ জুন ২০২৩, ০৭:৩০ অপরাহ্ন

শাশুড়িকে হত্যার পর লাশ ছয় টুকরা করে পুঁতে ফেলার অভিযোগে পুত্রবধূ আটক

ডেস্ক রিপোর্ট
  • প্রকাশিত: বুধবার, ২০ জুলাই, ২০২২
  • ১৬ পঠিত

কক্সবাজারের রামু উপজেলার দক্ষিণ মিঠাছড়ি ইউনিয়নের পশ্চিম উমখালীতে মমতাজ বেগম (৬০) নামের এক বৃদ্ধাকে কুপিয়ে হত্যার পর তাঁর লাশ ছয় টুকরা করে বাড়ির আঙিনায় পুঁতে ফেলার অভিযোগ পাওয়া গেছে।

এ ঘটনায় রোববার সন্ধ্যায় ওই বৃদ্ধার পুত্রবধূ রাশেদা বেগমকে (২৫) আটক করেছে পুলিশ। একই সঙ্গে মাটি খুঁড়ে লাশটি উদ্ধার করে রামু থানার পুলিশ।

মমতাজ ওই ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের পশ্চিম উমখালী হাজীপাড়ার মৃত আবদুল কাদেরের স্ত্রী। তাঁর স্বজনেরা জানিয়েছেন, তিন বছর আগে মমতাজ বেগমের ছেলে মো. আলমগীরের সঙ্গে রাশেদা বেগমের বিয়ে হয়।

রাশেদা বেগমের পৈত্রিক বাড়ি কক্সবাজার সদর উপজেলার ভারুয়াখালী ইউনিয়নে। রাশেদা সম্পর্কে মমতাজ বেগমের আপন ভাতিজি।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে রামু থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আনোয়ারুল হোসাইন গণমাধ্যমকে বলেন, পারিবারিক কলহের জের ধরে পুত্রবধূ রাশেদা ধারালো অস্ত্র দিয়ে তাঁর শাশুড়ি মমতাজ বেগমকে কুপিয়ে হত্যা করেন। এরপর লাশ ছয় টুকরা করে বাড়ির আঙিনায় মাটিতে পুঁতে ফেলেন। আজ সন্ধ্যা ছয়টার দিকে পুলিশ মাটি খুঁড়ে লাশের টুকরাগুলো উদ্ধার করে। একই সঙ্গে পুত্রবধূ রাশেদাকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে।

এ ঘটনায় হত্যা মামলার প্রস্তুতি চলছে জানিয়ে ওসি আনোয়ারুল হোসাইন বলেন, ময়নাতদন্তের জন্য লাশের টুকরাগুলো আগামীকাল সোমবার সকালে কক্সবাজার সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হবে। আটক রাশেদাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।

মমতাজ বেগমের ছেলে মো. আলমগীর বলেন, স্ত্রী রাশেদা বেগমের সঙ্গে তাঁর মায়ের মনোমালিন্য চলছিল। এর জের ধরে গতকাল শনিবার বিকেলে রাশেদা তাঁর মাকে দা দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করেন। এরপর লাশ কেটে ছয় টুকরা করে বাড়ির আঙিনায় টিউবওয়েলের পাশে গর্ত করে পুঁতে ফেলেন। এ সময় ঘরে কেউ ছিল না।

শনিবার বিকেল থেকে মাকে বাড়িতে না পেয়ে বিভিন্ন জায়গায় খোঁজাখুঁজি করতে থাকেন জানিয়ে আলমগীর বলেন, স্ত্রী রাশেদার কাছে জানতে চাইলে তাঁর মা বাড়ি থেকে কোথাও চলে গেছেন বলে জানান। এরপর তিনি নিজের ফেসবুকে মায়ের ছবি দিয়ে সন্ধান চেয়ে একটি স্ট্যাটাস দেন। এতেও তিনি মায়ের খোঁজ পাননি। আজ বিকেল পাঁচটার দিকে তিনি বাড়ির আঙিনার টিউবওয়েলের পাশে মাটি উঁচু দেখতে পান। পরে ওই স্থানে মাটি খুঁড়তেই মায়ের শাড়ি ও মৃতদেহ দেখেন। এরপর তিনি পুলিশে খবর দেন।

রাশেদা বেগম প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে শাশুড়িকে দা দিয়ে কুপিয়ে হত্যার কথা স্বীকার করেছেন বলে জানিয়েছেন।

শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Let's check your brain 4 + = 10

একই ধরনের আরও সংবাদ
© All rights reserved 2022 CHT 360 degree