পার্বত্য খাগড়াছড়ির মাটিরাঙ্গা উপজেলা তবলছড়ি ইউনিয়নের বিরাশিটিলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পর্যাপ্ত শ্রেণিকক্ষ, শিক্ষকের সংকটে ব্যাপকভাবে ব্যাহত হচ্ছে পাঠদান। দীর্ঘ ৫ বছরের বেশি সময় ধরে প্রধান শিক্ষক ছাড়া বিদ্যালয়টি ৭ জন শিক্ষকের স্থলে চলছে মাত্র ৩ জন সহকারী শিক্ষক দিয়ে। শ্রেণিকক্ষ সংকটে প্রথম ও প্রাক প্রাথমিকের পাঠদান করা হয় এক সাথে। নেই প্রাক প্রাথমিকের প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত শিক্ষক। ১৯৮১ সালে প্রতিষ্ঠিত তিন কক্ষ বিশিষ্ট্য এক তলা ভবনের বিদ্যালয়টির সিড়ির রুমে চলছে অফিসিয়াল কার্যক্রম।
বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক সফিউদ্দিন বলেন, ‘২০৯ জন শিক্ষার্থীর জন্য মাত্র তিন জন শিক্ষক দিয়ে প্রাক প্রাথমিকসহ ৬টি শ্রেণিতে পূর্ণাঙ্গ পাঠ দান কোন ভাবেই সম্ভব নয়। আমি অফিসিয়াল কাজে গেলে এবং কোন কারণে একজন শিক্ষক বিদ্যালয়ে অনুপস্থিত থাকলে সে দিন বিদ্যালয়ে একজন শিক্ষক দ্বারা কি হবে? অন্য দিকে প্রাক প্রাথমিকের শিক্ষক ও শ্রেণিকক্ষ না থাকায় প্রথম শ্রেণি ও প্রাক প্রাথমিকের শিক্ষার্থীকে এক সাথে পাঠদান করা হয়। এতে পাঠদান চরমভাবে ব্যাহত হয়।’
তিনি আরো বলেন, ‘ডেফোটেশনে থাকা অত্র বিদ্যালয়ের শিক্ষক ফেরত ও চাহিদা মোতাবেক পর্যাপ্ত শিক্ষক না দিলে পাঠদানের ক্ষেত্রে শুন্যতা পূরণ করা সম্ভব নয়। স্থানীয় সহকারী শিক্ষক রাহিলী ত্রিপুরা নিয়োগ পাওয়ার ৬ মাসের মাথায় ডেফোটেশনে খাগড়াছড়িতে চলে যাওয়ায় আরো বেশি শিক্ষক সংকটে পড়েছে বিদ্যালয়টি।’
বিদ্যালয়ের পরিচালনা কমিটির সভাপতি নুরুন নাহার শিখা বলেন, ‘স্কুল ভবনের বিষয়ে মাটিরাঙ্গা উপজেলা প্রথমিক শিক্ষা অফিসার বলেছেন দরখাস্ত পাওয়ার ভিত্তিতে প্রয়োজনীয় ব্যাবস্থা গ্রহণ করা হবে।’
মাটিরাঙ্গা উপজেলা সরকারি প্রথমিক (ভারপ্রাপ্ত) শিক্ষা অফিসার মঞ্জুমোর্শেদ কোন কথা বলতে অস্বীকৃতি জানান।