মঙ্গলবার, ২৮ মার্চ ২০২৩, ০২:০৪ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
ব্রিটেনের সিরাজাম মুনিরা মসজিদে আবারো খ্রিস্টান যুবকের ইসলাম গ্রহণ খাগড়াছড়িতে অতিরিক্ত দামে ব্রয়লার মুরগি বিক্রির অভিযোগে ২ প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা প্রথম মুসলিম প্রধানমন্ত্রী পেল স্কটল্যান্ড সৌদি আরবে বাস দুর্ঘটনায় ২০ ওমরাহ যাত্রী নিহত জুরাছড়িতে সেনাবাহিনীর ফ্রী মেডিক্যাল ক্যাম্প এপ্রিলে বাজারে আসছে ৬৪ মেগাপিক্সেল ক্যামেরার রিয়েলমি সি৫৫ কক্সবাজারে অপহৃত ৩ ব্যক্তি উদ্ধার, আটক ২ বৃষ্টি বাধায় ২০৭ রানেই শেষ হলো বাংলাদেশের ইনিংস রাঙামাটি রিজিয়নের সেনাবাহিনী কর্তৃক কৃতি ক্রীড়াবিদদের সংবর্ধনা পানছড়িতে বিদ্যালয়ের ভবন উদ্বোধনে কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা এমপি

হারিয়ে যাচ্ছে পাহাড়ে উৎসবের প্রতীক বিজু ফুল

ডেস্ক রিপোর্ট
  • প্রকাশিত: বুধবার, ২০ জুলাই, ২০২২
  • ১৫ পঠিত

চৈত্র মাসে বিজু ফুল ফুটলেই পাহাড়ে বিজু উৎসবের আমেজ দেখা যায়। পাহাড়ে পাহাড়ে ক্ষণে ক্ষণে বিজু পেক্কো (বিজু পাখি) বিজু বিজু বলে ডেকে ওঠে তখন। হাদি আর পিনোন বুনতে ব্যস্ত হয়ে পড়েন নারীরা। আর জুম বোনার প্রস্তুতিও শুরু হয়ে যায় জুমিয়াদের। চোয়ানি-জোগড়া (পানীয়) আর পাজনের (পাচন) উপকরণ জোগাড় চলতে থাকে বাড়িতে বাড়িতে।

বিজু, বৈসু, সাংগ্রাই, বিহু (বৈসাবি)—সম্প্রদায়ভেদে উৎসবের নাম ভিন্ন ভিন্ন হলেও তার রূপ বা চেহারায় সেই ভিন্নতা নেই। বিজু ফুলের ক্ষেত্রেও তা-ই। চাকমারা যাকে ‘ভাত জোড়া’ বলে, ত্রিপুরাদের কাছে তা ‘কুমুই-বোবা’ আর মারমারা সেটাকে ডাকে ‘চাইগ্রাইটেং’ ফুল বলে। তবে পাহাড়ে বসবাসরত বাঙালিরা এই ফুলকে ভিউফুল বলে।

দেখতে অনেকটা রঙ্গন ফুলের মতো এই পাহাড়ি ফুল। থোকায় থোকায় ফোটা এই ফুলের রং সাদা। মাঝে ঈষৎ গোলাপি আভা নিয়ে তার রূপ। যে কারোর পাহাড়ে কোথাও দেখা মিললেই এই ফুলে হাত বাড়াতে ইচ্ছা হয়। বিজু, বৈসু, সাংগ্রাই, বিহু উৎসব এই ফুল ছাড়া কল্পনাও করা যায় না। সব সম্প্রদায়ের এই উৎসব তিন দিনের। চাকমাদের কাছে এই তিন দিন ফুল বিজু, মূল বিজু আর গজ্জেপজ্জে বিজু নামে পরিচিত।

গঙ্গায় বা নদীতে বিজু ফুল ভাসানোর মধ্য দিয়ে বিজু উৎসব শুরু হয়। ঘরেও বিজু ফুলের উপস্থিতি থাকে। বিজু ফুল ছাড়া ঘরে উৎসবের মেজাজই আসে না। চাকমাদের প্রচলিত বিশ্বাস, ফুল বিজুর দিন এই ফুলের ঘ্রাণ নিলে রোগবালাই থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। তবে এই ফুলের তেমন আর একটা দেখা মেলে না। অনেক কিছুর মতো এটিও হারিয়ে যাচ্ছে পাহাড় থেকে।

৮ এপ্রিল খাগড়াছড়ির পানছড়ি সদর থেকে পাঁচ কিলোমিটার দূরে কানুনগোপাড়ায় একটি ঝোপে দেখা মিলল বিজু ফুলের। ঘন ঝোপের মধ্যে সবুজ পাতার ফাঁকে থোকা থোকা ফুটে ছিল এই ফুল। বিদ্যালয়ে যাওয়া কয়েকজন শিক্ষার্থী পাতা দিয়ে আড়াল করে রাখছিল ফুলগুলো, ফুল বিজুতে নদীতে ভাসাবে বলে।

গাছের প্রতিটি শাখার অগ্রভাগে থোকায় থোকায় বিজু ফুল ফোটে। ঊর্ধ্বমুখী মঞ্জরিগুলো হালকা সাদা আর গোলাপি। ফুল আকারে ছোট নলাকৃতির। প্রতিটি ফুলের পাপড়ি থাকে চারটি। ফুটন্ত ফুল অনেক দিন স্থায়ী হয়।

শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Let's check your brain − 5 = 1

একই ধরনের আরও সংবাদ
© All rights reserved 2022 CHT 360 degree