মঙ্গলবার, ২৮ মার্চ ২০২৩, ০২:৫২ অপরাহ্ন

২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলায় জড়িতদের বিচারের দাবিতে খাগড়াছড়িতে মানববন্ধন

ডেস্ক রিপোর্ট
  • প্রকাশিত: রবিবার, ২১ আগস্ট, ২০২২
  • ১৬ পঠিত

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার উদ্দেশ্যে ২১আগস্ট বর্বরোচিত ও নৃশংস গ্রেনেড হামলায় নিহত নারী নেত্রী আইভি রহমানসহ নিহত সকল হত্যাকাণ্ডের দ্রুত বিচার ও ফাঁসির দাবিতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।

রবিবার (২১ আগস্ট) বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে জেলা আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয়ে সম্মুখে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।

এ সময় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও ভারত প্রত্যাগত শরণার্থী বিষয়ক ট্রাস্কফোর্স’র চেয়ারম্যান (প্রতিমন্ত্রী পদ-মর্যাদা) কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা এমপি।

মানববন্ধনে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাংসদ কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা বলেন, ‌‘২০০৪ সালের ২১ আগস্ট আজকের এই দিনে ঢাকায় বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সমাবেশে গ্রেনেড হামলা চালানো হয়। এতে দলের নেতা-কর্মীসহ ২৪ জন নিহত হন। আহত হন শেখ হাসিনাসহ দলের কয়েক শত নেতা-কর্মী। ভয়াবহ হামলার ১৮ বছর হামলার ভয়ংকর স্মৃতি নিয়ে ফিরে দেখা আজ সেই রক্তাক্ত ২১ আগস্ট। ২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলা ছিল ১৯৭৫-এর ১৫ আগস্টের কালরাতের বর্বরোচিত হত্যাকাণ্ডের ধারাবাহিকতা। আওয়ামী লীগকে নেতৃত্বশূন্য করতে সংগঠনের সভাপতি শেখ হাসিনাসহ দলের প্রথম সারির নেতাদের হত্যার উদ্দেশ্যেই ওই ঘৃণ্য হামলা চালায় ঘাতক চক্র।’

তিনি আরও বলেন, ‘ সেদিন ‘সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ ও দুর্নীতি বিরোধী’ শান্তি সমাবেশের আয়োজন করেছিল তৎকালীন বিরোধী দল আওয়ামী লীগ। আজকের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এতে প্রধান অতিথি ছিলেন। সন্ত্রাসবিরোধী শান্তি সমাবেশের আগে বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে স্থাপিত অস্থায়ী ট্রাক মঞ্চে দাঁড়িয়ে বক্তৃতা শেষ হওয়ার পরপরই তাঁকে লক্ষ্য করে গ্রেনেড হামলা শুরু হয়। বিকট শব্দে বিস্ফোরিত হতে থাকে একের পর এক গ্রেনেড।

এ সময় মানববন্ধনে আওয়ামী লীগের নেতারা বলেন, ‘১৮ বছর পূর্বে এই দিনে মুহুর্মুহু গ্রেনেডের বিকট বিস্ফোরণে কেঁপে ওঠে ঢাকার বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউ। মানুষের আর্তনাদ আর ছোটাছুটিতে তৈরি হয় এক বিভীষিকা। গোটা দেশ স্তব্ধ হয়ে পড়ে ওই হামলায়। আজ সেই ২১ আগস্ট, রক্তাক্ত বিভীষিকাময় দিন। ২০০৪ সালের এই দিনে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে তৎকালীন বিরোধী দলীয় নেতা শেখ হাসিনার সমাবেশে অতর্কিতে গ্রেনেড হামলা চালানো হয়। মারা যান আওয়ামী লীগের মহিলা বিষয়ক সম্পাদক আইভি রহমানসহ ২৪ জন। আহত হন শেখ হাসিনাসহ পাঁচ শতাধিক নেতা-কর্মী। সাংবাদিকেরাও আহত হন। ’

এ সময় পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মংসুইপ্রু চৌধুরী অপু, পৌরসভার মেয়র নির্মলেন্দু চৌধুরী, জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান কংজরী চৌধুরী, জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি কল্যাণ মিত্র বড়ুয়া, জেলা পরিষদের সদস্য খোকনেশ্বর ত্রিপুরা, জেলা পরিষদের সদস্য মংক্যচিং চৌধুরী, জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক পার্থ ত্রিপুরা (জুয়েল), সাংগঠনিক সম্পাদক মো. দিদারুল আলম, অ্যাডভোকেট আশুতোষ চাকমা, জেলা আওয়ামী লীগের উপ-দপ্তর সম্পাদক মো. নুরুল আজম, জেলা পরিষদের সদস্য শতরুপা চাকমা, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাফতি নরোত্তম বৈষ্ণব, সদর উপজেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সুইচিং থুই মারমা, জেলা আওয়ামী মহিলা লীগের সভাপতি বিউটি রানী ত্রিপুরা, ভাইবোনছড়া ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান পরিমল ত্রিপুরা, পেরাছড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান তপন বিকাশ ত্রিপুরা, জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সহ-সভাপতি অংসা মারমা, মংসানু মারমাসহ আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ, প্রিন্ট ও মিডিয়া কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Let's check your brain 71 + = 77

একই ধরনের আরও সংবাদ
© All rights reserved 2022 CHT 360 degree