রবিবার, ২৬ মার্চ ২০২৩, ০৯:০১ অপরাহ্ন

৪ শরণার্থী হত্যা করে ভিডিও বার্তায় দায় স্বীকার রোহিঙ্গা যুবকের

ডেস্ক রিপোর্ট
  • প্রকাশিত: বুধবার, ২৮ সেপ্টেম্বর, ২০২২
  • ২২ পঠিত

প্রত্যাবাসন নিয়ে কাজ করা রোহিঙ্গা নেতাদের হত্যা করতে ‘মাহাজ’ নামে একটি সংগঠন অস্ত্র দিয়েছে বলে দাবি করেন তিনি

কক্সবাজারের উখিয়ায় রোহিঙ্গা ক্যাম্পের চার মাঝিকে (নেতা) কীভাবে কার ইন্ধনে খুন করা হয়েছে তার বর্ণনা দিয়েছেন মো. হাসিম (২১) নামে এক যুবক। এক মাসে চার নেতা হত্যার বিষয়টি তিনি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ভিডিও আকারে প্রকাশ করেছেন।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়া ওই ভিডিওতে দেখা যায়, তিনি একটি অস্ত্র হাতে নিয়ে নিয়ে চার জনের মধ্যে কাকে কীভাবে হত্যা করা হয় সেই বর্ণনা দেন।

ভিডিওতে তিনি দাবি করেন, তার মতো ২৫ জন যুবককে অস্ত্র দিয়েছে মাহাজ।

ভিডিওতে হাসিম বলেন, “আমাদের মোটা অঙ্কের টাকা দিয়ে হত্যার মিশন বাস্তবায়ন করা হতো। আমাদের মূল কাজ ছিল যারা প্রত্যাবাসন নিয়ে কাজ করে, তাদের হত্যা করা। ৫-৬ দিনের মধ্যে আমরা তিন মাঝিসহ এক ভলান্টিয়ারকে হত্যা করেছি।”

হত্যার শিকার চারজনের নামও বলেছেন ওই যুবক। তারা হলেন—উখিয়ার ১৮ নং ক্যাম্পের হেড মাঝি জাফর, ৭ নং ক্যাম্পের ইসমাঈল, কুতুপালং এক্সটেনশন ক্যাম্প-৪ এইচ ব্লকের এরশাদ ও হেডমাঝি আজিমুল্লাহ।

ভিডিও বার্তায় সন্ত্রাসী সংগঠন মাহাজের চার মুখপাত্রের নাম বলেছেন হাসিম। তারা হলেন—জিম্মাদার শাহাব উদ্দিন, রহমত উল্লাহ, হেড মাঝি ভূঁইয়া, মৌলভী রফিক। তারা এই সংগঠনের নেতৃত্বে দিতেন বলে জানিয়েছেন তিনি।

হাসিম আরও জানান, তাদের সামনে আরও বড় মিশন ছিল। কিন্তু তিনি নিজের ভুল বুঝতে পেরেছেন। তাই এই খারাপ জগৎ ছেড়ে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসতে চান।

এ বিষয়ে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে দায়িত্বরত ৮-আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের (এপিবিএন) অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ফারুক আহমেদ বলেন, “ভিডিওতে ওই রোহিঙ্গা যুবক যাদের নাম উল্লেখ করেছেন, তদন্ত সাপেক্ষ তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ক্যাম্পের নিরাপত্তার জন্য আমরা সব সময় সজাগ রয়েছি।”

শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Let's check your brain 73 − 71 =

একই ধরনের আরও সংবাদ
© All rights reserved 2022 CHT 360 degree